বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি ও নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা।
রাস্তাঘাট ও নদী তীরবর্তী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। ডুবছে বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘের, আবাদি জমি। পাশাপাশি ভাটায় নদীর পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ভাঙন।
আবার জোয়ারে লোকলয়ে প্রবেশ করা পানি বের হতে না পেরে জলবদ্ধতারও সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও এসব কিছুর মাঝেই কিশোর ও তরুণরা জালসহ বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে মাছও শিকার করছে প্লাবিত পানির মধ্যে।
এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ার ও পানির গতির কারণে নদীতে নৌযান চালনা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নৌযানের চালকরা জানান, স্রোতের কারণে সতর্ক থেকে নৌযান চালনা করতে হচ্ছে। অনেক নদী বা চ্যানেলের মোহনায় পানির চাপ এতটাই বেশি থাকে যে ঘুরে এসে চ্যানেলে প্রবেশ করতে হয়। আবার পানি বেড়ে যাওয়ায় কোনটা নদীর মূল চ্যানেল তা বুঝতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার থেকে লালগঞ্জ যাওয়ার পথের একটি ব্রিজ পানির স্রোতে ভেঙে পড়েছে। এছাড়া হিজলার বাটামারা ইউনিয়নে নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২১ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবশেষ হিসাবে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারে সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বরিশালের বেশিরভাগ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পানি থাকার পর আবার ভাটায় নেমে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy