আনিসুর রহমান: শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতু-সংলগ্ন কর্ণকাঠী জিরো পয়েন্টে বরিশাল পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে হাজারো মানুষ, দিনের পর দিন মালিক সমিতির লোকজনের হাতে যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ গাড়ি চালক পযর্ন্ত লাঞ্ছিত হচ্ছে।
জানা যায়,, বরিশাল পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির সদস্যরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এম্বুলেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রী নামিয়ে হয়রানি করছে। থ্রি- হুইলার জাতীয় গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়।
তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের নাকের ডগায় এমন হয়রানীর চিত্র দেখা যায় প্রতিনিয়ত।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহা সড়কে আলফা, মাহিন্দ্র, অটোবাইক থামিয়ে রোগী ও যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। তাছাড়া বাস মালিক সমিতির লোকজন গাড়ি কাগজপত্র দেখতে চায়। ভ্রোর দিয়ে অটোরিক্সার চাকা,মাহিদ্রার চাকা সহ বিভিন্ন গাড়ির চাকা ফুটো করে দেয় তারা। আর সাধারণ মানুষরা মালিক সমিতির এমন আচরনের প্রতিবাদ করলে প্রতিনিয়ত হচ্ছে লাঞ্ছিত হামলার শিকার।
জাফর নামে এক যাত্রী বলেন, মালিক সমিতির সদস্যদের অাচরণ এবং দাপট এতটাই ক্ষিপ্ত, মনে হয় রাষ্ট্র তাদের বিশেষ কোন ক্ষমতা দিয়েছে। থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ হলে তা দেখবে, পুলিশ এবং প্রশাসন, কিন্ত কমান্ডো স্টাইলে গাড়ি থামিয়ে এমন ঘটনা দেখেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।
কাওসার নামের একজন সিএনজি চালক বলেন আমি নলছিটির মোল্লারহাট থেকে একজন বৃদ্ধ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বাস মালিক সমিতির লোকজন আমার গাড়ি আটকে আমাকে চর থাপ্পড় মারেন এবং গাড়ির চাকা ভ্রোর দিয়ে ফুটে করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি তাদের ২০০ টাকা দিয়ে অনুরোধ করে মুক্তি পাই।
আর এসব দেখেও নিরব ভূমিকা পালন করছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ।