বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আাট ঘণ্টার মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিসাধীন অবস্থায় ওই ৫ রোগী মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল মহানগেরর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখানা এলাকার শাহানেওয়াজ (৬৩) শুক্রবার দুপুর একটায় উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টায় মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
একই দিন বরগুনা জেলার আাবদুর রশীদ (৮০) গত ২৩ জুন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। শুক্রবার সন্ধ্য ৬টা ১০ মিনিটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাইরুল বাসার (৪৫) শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের সময় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৩ জুন বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নমুনাও সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বরিশাল মহানগরের রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা ফরিদা বেগম (৪৫) রাত ৯টা ১৫ মিনিটের সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাকে শুক্রবার সকাল ১০ ৫৫মিনিটে হাসপাতলের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
রাত ১০টায় করোনা ওয়ার্ডে সর্বশে মারা যান ইউনুস হাওলাদার (৫০)।
শুক্রবার রাত ৯টা ৩৩ মিনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ রোগী মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এই নিয়ে হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ৮৬ জন রোগী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৩১ জন।