শনিবার রাতে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউপির বেলটিয়া উত্তরপাড়ার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রক্ষা বাঁধ এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, সেতু কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোরিলাবাড়ি থেকে বেলটিয়া পর্যন্ত ৫০০ মিটার এলাকায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু রক্ষা গাইড বাঁধের কাজ শেষ করা হয়েছে। সম্প্রতি এ গাইড বাঁধের কাজ শেষ করেছে শহীদ ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার পরই ভাঙন শুরু হয়। বাঁধ ভেঙে ব্লকগুলো নদী গর্ভে চলে গেছে। সেসঙ্গে শনিবার থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ ২৩টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া আরো ছয়টি পরিবারের ঘরবাড়ি অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়েছে।
এদিকে, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছে স্থানীয় এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীসহ সংশ্লিষ্টরা।
বেলটিয়া উত্তরপাড়ার নুরুল ইসলাম, সামাদ, সাইবালী, হযরত মওলানা বলেন, রাতের মধ্যেই বাড়িগুলো নিমিষেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্র সরানোর সময় পায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী এহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সম্প্রতি ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা গাইড বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। বাকি অংশটুকু পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই ভাঙনে বাঁধের ৩৫ মিটার অংশ ভেঙে গেছে।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভেঙে যাওয়া অংশে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলানো হবে ভাঙনরোধের জন্য। এরপর আগামী মৌসুমে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু করা হবে অনুমোদন পাওয়া গেলে।
কালিহাতীর ইউএনও শামীম আরা নিপা বলেন, ভাঙনে ২৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রশাসন থেকে প্রত্যেক পরিবারকে দুই হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী বলেন, ভাঙনের বিষয়টি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দুই একদিনের মধ্যে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করবেন। এরপরই যত দ্রুত সম্ভব ভাঙনরোধে কাজ করা হবে।