আফনান চৌধুরী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) :
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে 'কেমন পুঁইছড়ি চাই' শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং পুইছড়ির অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ আগস্ট) বিকালে ৩টায় রোটারিয়ান মুবিনুল হক মুবিনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুইছড়ির প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাস্টার জাফর আহমেদ এর সভাপতিত্বে মোরশেদুর রহমানের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাঈদুজ্জামান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সৈয়দ
আবু সুফিয়ান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাপোড়া-শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, পুইছড়ি মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আরিফ উল্লাহ্, পুঁইছড়ি ইজ্জতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হুদা সিদ্দিকী, মাস্টার নজির আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের, পুঁইছড়ি ইজ্জতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান, পুঁইছড়ি ছোবহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আমির হোসাইন, পুঁইছড়ি মকছুদা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া সিকদার, পুঁইছড়ি হাফেজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আক্তার, পূর্ব পুঁইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ কবির, জঙ্গল নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফজলুল করিম, দক্ষিণ নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কচির উদ্দিন, উত্তর নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, মাস্টার নজির আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবদুস ছবুর, পুঁইছড়ি
সোলতানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ববিতা দাশ, পুঁইছড়ি কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাঈদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'রোটারিয়ান মুবিনুল হক মুবিন ভাইয়ের এই আয়োজন নিরক্ষর মুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে। পুইছড়িকে নিরক্ষরমুক্ত করার জন্য সর্বসাধারণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এগিয়ে আসা উচিত।
শিক্ষার্থীরা যদি তাদের পিতা-মাতাকে সাহায্য করে তাহলে অতি সহজে নিরক্ষর মুক্ত করা সম্ভব। বর্তমানে যে সরকার ভাতা (বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা অন্যান্য অনুদান) দিচ্ছেন তা বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে বৃদ্ধ মানুষরা নিরক্ষর হওয়ায় কারণে বিকাশ নাম্বার অন্য জনের দিয়ে টাকা অন্যরা নিয়ে নিচ্ছেন।'