প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৯:৪৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২৫, ২০২০, ৫:১৩ পি.এম
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি হলেও নেই রপ্তানি
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
দীর্ঘ আড়াই মাস পর গত ১৩ জুন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ-ভারতে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন থাকায় দুই দেশে সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
১৩ জুন থেকে এ পর্যন্ত (২২ জুন) এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ছয়শতাধিক ট্রাকে পাথর আমদানি করা হলেও সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে তার সিকি অংশ পণ্যও রপ্তানি হয়নি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত ১১ জুন এক জরুরি সভায় জেলা প্রশাসন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয়। স্থলবন্দরটি চালুর সময় করোনা সংক্রমণ এড়াতে জুড়ে দেওয়া হয় ১৩ টি শর্তও। একই দিন ১১ জুন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বন্দরের সকল কার্যক্রম চলবে। এই সময় প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন বন্দরে ১০০ ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে। তবে বাংলাদেশ থেকে কী পরিমাণ ট্রাক ভারতে প্রবেশ করতে পারবে, এই ব্যাপারে নির্দেশিকায় কোন উল্লেখ নেই। এদিকে, এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) থেকে রপ্তানির অপেক্ষায় আটকে রয়েছে বসুন্ধরা ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সাতটি পণ্য বোঝাই কার্গো। বন্দরে আটকে থাকা পণ্যের সিএন্ডএফ এজেন্ট আলাউদ্দিন বাবু জানান, ঠিক কী কারণে ভারতে আমাদের কার্গো যেতে দেয়া হচ্ছে না, তা নিশ্চিত নই। তবে শুনেছি আমাদের কার্গো ভারতে গেলে, ভারত থেকে পাথরের ট্রাক আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমাদের পণ্য যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম চালকদের দিলেও বাংলাদেশ অংশেই কার্গো আটকে আছে। কবে কার্গো যেতে দেওয়া হবে, তা এখনও নিশ্চিত নই। বাংলাবান্ধা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শামসুল হক বলেন, আমদের পক্ষ থেকে পণ্য পাঠাতে কোন সমস্যা নাই। সমস্যটা হচ্ছে ভারতের দিক থেকে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দাপ্তরিক কোন চিঠি না দেওয়ায় এই ব্যাপারে বিশদ কিছু জানা নেই আমাদের। সামছুল হক বলেন, তারা যেহেতু পণ্য রপ্তানি করছে, আমরাও রপ্তানি করতে পারবো। এই ক্ষেত্রে আলাদা কোন নির্দেশনা থাকার কথা না। আর যতটুকু জেনেছি ভারতের সিএন্ডএফ এজেন্ট বলেছেন, আমদানিকারকের পক্ষে কোন প্রতিনিধি না থাকায় তারা পণ্য নিতে পারছেন না। কিন্তু আমাদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যে আলোচনা ছাড়া ঢাকা থেকে পণ্য পাঠানোর কথা নয়। পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টের পক্ষ থেকে আমাকে কিছু জানায়নি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়েছি। আপাতত দেশের সব বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ আছে। এর আগে বুড়িমারী বন্দর দিয়ে রপ্তানি করতে চাওয়ায় চালুর পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছুই করার নেই, এটা পুরোপুরি সরকারি বিষয়। তারপরেও রপ্তানি কার্যক্রম যেন চালু করা যায়, সেই ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, কার্গো আটকে থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। সিএন্ডএফ এজেন্টদের পক্ষে থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy