আমির হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনি
মামলার বাদী বেল্লাল হোসেন জানান, তার বাড়ি বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুর বাড়িয়া গ্রামে। প্রতিপক্ষ হাসেম খানের সাথে তার বাবা কাসেম খানের দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে প্রতিপক্ষ দুই দফায় তার বাবা কাসেম খান, মা মিনারা বেগম ও ভাই হেলাল খানকে মারধর করে জখম করে। এ ঘটনায় তিনি বাউফল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন। (মামলা নং জিআর ১৩২/২০ ও ১৯৩/২০) এতে আসামী পক্ষ তার উপর ক্ষুদ্ধ হন।
গত ২৭ জুন প্রতিপক্ষ আলী হোসেন খান, আলতাফ খান, হাসেনম খান, জাফর, হাসান ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে ১৭-১৮ জন লেক তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই তার ভাই হেলাল খান বাদি হয়ে বাউফল থানার একটি মামলা করেন। (মামলা নং জিআর ১৫৬/২০)। মামলা দায়ের পর আসামীরা তাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এ বিষয় নিয়ে বাউফল থানার পুলিশকে একাধিকবার অবহিত করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং আসামীরা বীর দর্পে এলাকায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। রাতে বাড়ি ঘুমাচ্ছেন। আর তারা আসামীদের ভয়ে প্রায় ৮ মাস বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্বিয় স্বজনদের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, তার উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তিনজন আসামী জাফর, হাসান ও দেলোয়ার স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এতে অন্যান্য আসামীরা তাদের উপর ভীষন ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। প্রাননাশের ভয়ে এখন তিনি স্ত্রী আখিঁনুর ও সন্তান নুসরাতকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি আসামীদের গ্রেপ্তার করে তার পরিবারের নিরাপত্তা বিধানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy