রানা, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালী বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট পল্টুনের একটি কক্ষ থেকে চারটি বগি দা (দেশীয় অস্ত্র) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে বাউফল থানা পুলিশ ও কালিশুরীর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের যৌথ অভিযানে ওই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র কার তা নিশ্চিত করা যায়নি। কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ। তবে এব্যাপারে একটি সাধারন ডায়েরী হয়েছে থানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র উত্তাপ্ত হয়ে উঠেছিল ধুলিয়া ইউনিয়ন। নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার সময় প্রতিদ্বদ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। এবার অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে ইতিমধ্যেই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নৌকা মার্কার একাধিক সমর্থক জানান, যে পল্টুন থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সে পল্টুন বর্তমান চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান রবের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটে অন্য কোন পক্ষের অস্ত্র রাখার সুযোগ নেই। এঘটনা বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজনের দ্বারাই হয়েছে।
অপরদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান রব জানান, রাতের আঁধারে কে বা কাহারা ওই বগি দাগুলো রেখেছে সেটা আমাদের জানা নেই। তবে আমার জনসমর্থনের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে মামলা মোকদ্দমায় আটকানোর জন্য নৌকা মার্কা প্রার্থীর সমর্থক এবং অন্যান্যরা এমনটা করতে পারে।
সকাল ১০টার দিকে ধুলিয়া লঞ্চঘাট পল্টুনে অস্ত্র রয়েছে এমন খবর শুক্রবার বেলা ১০ টার দিকে জানলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ যথা সময়ে যায়নি। খবর পেয়ে কালিশুরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.আই. মনির হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছালেও উদ্ধার অভিযান শুরু করেননি।
পরে বাউফল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো.আল মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে পল্টুনের যে কক্ষে অস্ত্র ছিল সেই কক্ষের তালা খুলে চারটি বগি দা উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার অভিযানে সময় ক্ষেপণ করায় ওই অস্ত্রের সাথে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মু. হুমায়ূন কবির বলেন, তফশিল ঘোষনার পর থেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী আনিচুর রহমান রব ও স্থানীয় বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আমাকে এবং আমার কর্মী সর্মথকদের উপর হামলা করে। ভয়ভীতি দেখায়। নতুন করে সংঘাতের জন্য ওই অস্ত্র আনা হয়েছে।
ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিচুর রহমান রব জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য নানা ধরণের অপকৌশল করেছেন। আমার কোন লোকজনই এ কাজের সাথে জড়িত না। আমি বর্তমানে ৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান পদে থেকে মানুষের সেবা করছি আমার রামদা লাগবে কিসে।
এবিষয়ে স্থানীয় চশমা মার্কা প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যস্ত আছি ।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মো.আল মামুন বলেন, এঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের পরে নিয়মিত মামলা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..