ফিরোজ,বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই নদীর তীরবর্তী মানুষগুলো এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
গত কয়েক দিনে শতাধিক পরিবার ভিটাবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে কোটি কোটি টাকার সহায়-সম্পদ চিরতরে নদীতে হারিয়ে গেছে। নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে প্রতিনিয়ত বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাউফলের জনপদ। হারিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, ধান, ফসলি জমি, পুকুর, বাগান, বাজার, স্কুল, রাস্তাঘাট, সরকারি খাদ্যগুদামসহ অন্যান্য সহায়-সম্পদ। অব্যাহত ভাঙ্গনে বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর কারখানা নদীর ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বাহেরচর লঞ্চ ঘাট থেকে পশ্চিম-কাছিপাড়া পর্যন্ত কারখানা নদীর ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে। ওই সব এলাকার মানুষজন এখন ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে তাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা, পশ্চিম কাছিপাড়া ও বাহেরচর লঞ্চ ঘাট এলাকায় কারখানা নদীর হিংস্র থাবায় বাহেরচর লঞ্চ ঘাট থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিম কাছিপাড়া, কারখানা লঞ্চঘাট পর্যন্ত কয়েকশ হেক্টর আবাদি জমি, বসতবাড়ি, ঈদগা মাঠ, বৈদ্যুতিক খাম্বাসহ বহু গাছগাছালি, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ৩টি সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ মানুষই নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন। কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার বলেন,‘আমার ১ নং ওর্য়াডের প্রায় ৪০-৫০টি পরিবার নদীর ভাঙ্গনে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাদের ফসিল জমি বিলীন হয়ে গেছে। তারা এখন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। পশ্চিম-কাছিপাড়ার আকন বাড়ি ও খানবাড়ি ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে কারখানা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা কারখানা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যপারে কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, নদীভাঙ্গন রোধে অর্থ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।