আমির হোসেন (বাউফল) প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter share
পটুয়াখালীর বাউফলে কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের অন্তর্গত ভূইঁয়ার হাট নামক একটি সাপ্তাহিক বাজারে ঘাটের জায়গা দখল করে পাকা ঘরসহ একটি টিনসেটের ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের অভিযোগ হাটটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় পণ্যসামগ্রী আমদানির একমাত্র উপায় নৌপথ। বরিশাল,কালাইয়া ও কালিশুরী, থেকে মালামাল নৌপথে আসলে উঠা-নামানোর জন্য একটি মাত্র ঘাট এটি।
Surjodoy.com
ঘাটের জায়গা প্রশস্ততার দিক থেকে অপ্রতুল তাই মালামাল খালাস করতে অনেক কষ্ট হয় এবং ড্রেনে পাইপ না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্রায়ই বাজারের অধিকাংশ জায়গা তলিয়ে যায় এমনটাই জানায় ঘাটের সর্দার মোঃ মামুন সওদাগার।
স্থানীয় কতিপয় দোকানদার জানায়, আমাদের অজু-গোসল ও ধোয়া মোছার কাজে অনেকটাই বিঘ্ন ঘটছে এমনকি প্রশস্ততা কম হওয়াতে আমরা সরকারিভাবে পাকা ঘাট পাচ্ছি না।
The Daily surjodoy
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল বশার, মিজানুর রহমান, সামসুল হক, সাইফুল মুন্সী, শাওপন সিকদার, রেজাউল মুন্সী, আনিচ ফরাজী, আরিফ গাজী, ফরিদ সিকদার, আঃ কাদের ভূইয়া,সাইফুল ভূইয়া, বাকিবিল্লাহ, হোসেন ফরাজীসহ অনেকে জানায়, আমাদের তিন মাস আগের অভিযোগের ভিত্তিতে বাউফল সহকারি ভূমি কমিশনার মহোদয় মোঃ শহিদ সিকদারের পিছনের টিনসেটের ঘরটি ভেঙে দেন এবং ভুক্তভোগী শহিদ সিকদার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় ঘর তোলেন। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ বলেন, জনস্বার্থে জায়গাটি ছেড়ে দেয়ার জন্য তাকে আমরা বারবার অনুরোধ করলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি।
The Daily surjodoy
আমরা যাতে ঘাটটি পুনঃবহাল রাখতে পারি সেজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে এ ব্যাপারে ভরিপাশা গ্রামের ০৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদ সিকদার বলেন, যেহেতু সবাই সরকারি খাস জমি দখল করে দোকানঘর নির্মান করছে এজন্য আমিও করেছি। আমি ঘাটের জায়গা রেখেই ঘর নির্মান করছি। উপজেলা প্রশাসন তার নির্মিত ঘর ভেঙে দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভেঙ্গে দিয়েছিল তারপর আবার আমি ঘর ঠিক করেছি এতে দোষের কি আছে?
The Daily surjodoy
এ ব্যাপারে সহকারি ভূমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিচুর রহমান বালি প্রতিবেদককে বলেন, 'আমি আমার ফোর্স নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ওই ঘরটির কিছু অংশ ভেঙ্গে দিয়েছি ভিতরে মালামাল থাকায় পুরো অংশ ভাঙতে না পারায় মালামাল অন্যত্র সরানোর শর্তে শহিদ সিকদারকে ০৭ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। এর পরবর্তীতে কি হয়েছে আমার জানা নেই, যেহেতু এখন জেনেছি আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy