আমির হোসেন(বাউফল) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল-নওমালা পাকা রাস্তা হইতে বিলবিলাস শেরে বাংলা সড়ক সংযোগ ভায়া হাচন হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত ৯০ লাখ টাকা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যায়ে নির্মিত কার্পেটিংয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে সড়কটির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
এ নিয়ে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছেননা। অভিযোগ উঠেছে বাউফল উপজেলা উপপ্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের সাথে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের যোগসাজে এ নানা অনিয়ম করে আসছে ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে নাজমুস শাহাদাত নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি দরপত্র গ্রহণ করে। দরপত্রানুযায়ি বেড কাটা থেকে, বালু ভড়াট ও ম্যাকাডম,ঢালাই পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজ সিডিউল অনুযায়ী করা হয়নি।
বর্তমানে অত্যন্ত নিম্নমানের পাথর দিয়ে সড়কটির ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির কার্পেটিং করার আগে ৬০% বিটুমিন ও ৪০% ক্রসিন দেয়া কথা থাকলেও শুধু নামে মাত্র বিটুমিন ক্রসিক দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে।
নিম্ন মানের পাথর,হাফইঞ্চি পাথরের পরিবর্তে সিলেকশন বালি ব্যবহার করছে। কার্পেটিংয়ের সময়ে বিটুমিন শতভাগ গরমের পরে থ্রি ফোর হাফ ইঞ্চি এবং ডাষ্ট ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছেনা।মেকচিং করা হয়না।
ঢালাইয়ের কাজ তদারকি করছেন নৈশ প্রহরী। কাজের সাইডে সার্বক্ষনিক ওয়ার্ক এ্যাসিষ্টান্ড থাকার কথা রয়েছে, তা নেই। দায়িত্বে থাকা উপপ্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজসে নানা অনিয়ম করে আসছে।
ঢালাইয়ের সময়ে দায়িত্বরত উপ প্রকৗশলী শহিদুল ইসলামের থাকার কথা থাকলেও এলজিইডি অফিসের নৈশ প্রহরী হারুন এ কার্পেটিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে। যিনি রাস্তার কার্পেটিং এর উচ্চতা কতটুকু। বিটুমিনের তাপমাত্রা কত। পাথর কিভাবে মিকচিং করা হয় কিছুই জানেনা।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্টানের মালিক নাজমুল শাহাদাত বলেন, কার্পেটিং সিডিউল মত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দায়িত্বরত উপ প্রকৌশলী শহিদুল ইাসলাম বলেন, সিডিউল অনুযায়ি কাজ চলছে কোন অনিয়ম হচ্ছেনা ।
বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ বলেন,গত কাল কাজটি শুরু করে চলে আসছি ওখানে নৈশ প্রহরী কেন,কাজের দায়িত্বে এসও শহিদুল ইসলাম রয়েছে। তবে কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।