সম্রাট ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় মহামারী করোনায় গলদা চিংড়ীর দাম এবছর প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৪ শত টাকা কম হওয়ায় চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বাজারে ধস নামায় কেড়ে নিয়েছে চাষীদের সোঁনালী স্বপ্ন, কারোবা আবার মাথায় হাত।
অপর দিকে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে আন্তজার্তিক বাজারে চাহিদা না থাকা এর আন্যতম কারন।
সব মিলিয়ে পথে বসতে চলেছে চাষীরা। তবে যে কোন সময় দাম পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করছেন মৎস্য অধিদপ্তর।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায় ডুমুরিয়ায় প্রায় ২৫হাজার, ৮শ গলদা চিংড়ীর ঘের রয়েছে।
চিংড়ীচাষে ডুমুরিয়া খুলনা জেলার একটি শীর্ষস্থানিয় উপজেলা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও চাষীরা ব্যাপক চিংড়ী চাষ করেছে।কিন্তু গত বছর যে চিংড়ীর দাম ছিল প্রতি কেজি ১৩ থেকে ১৪শত টাকা,এবছর তার দাম ৮/৯শত টাকা। উপজেলার খর্নিয়া, ডুমুরিয়া সহ বিভিন্ন মৎস্য মোকাম এর আড়ৎদার, ডিপো মালিক ও চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান মোকামে মাছের আমদানী খুবই কম। কখন বাড়বে মাছের দাম সে আশায় চাষীরা মাছ ধরছে না। যা কম-বেশী ধরা হচ্ছে তার আবার চাহিদা ও দাম কম। ঢিলে-ঢালা ভাবে চলছে বাজারের বেচাকেনা।
রংপুরের মৎস্য চাষী রতন হালদার, গুটুদিয়ার মৎস্য চাষী শহিদ মোড়ল, বান্দার সুজিত মন্ডল, শোভনার আসাদুল ইসলাম, কাপালিডাঙ্গার কার্তিক মন্ডল সহ অনেক চাষী জানান, রেনু থেকে শুরু করে বড় করতে প্রায় ৬/৮মাস সময় লাগে। রেনু বা পিসের মুল্য, খাবার, লেবার ও জমির হারি সহ এক কেজি মাছ তৈরী করতে যে খরচ হয় এখন তার থেকেও অনেক কমদামে প্রতি কেজি মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। একান্ত টাকার প্রয়োজনে কিছু কিছু মাছ ধরতে হচ্ছে। মাছের দাম না বাড়লে আমাদের পথে বসতে হবে।
ডিপো মালিক রোস্তম, শুকলাল, রহুল আমিন, নাহিদ সহ অনেকে জানান কোম্পানীতে মাছের দাম কম। তাই আমাদেরও কম দামে মাছ কিনতে হয়। আনোয়ারা মৎস্য মার্কেট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক গাজী মেহেদী হাসান বলেন, কিছু কিছু অসাধু মৎস্য ব্যাসায়ীরা এর বাজার ও চাহিদা নষ্ট করে ফেলছে। যার খেসারত সবাইকে দিতে হচ্ছে।
গলদা চিংড়ীর বাজারে ধস কেন এবং কবে বাজার দর ফিরে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও মান নিয়ন্ত্রক মজিনূর রহমান বলেন আমাদের চিংড়ী গুলি সাধারণত আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে রপ্তানী হয়ে থাকে। যেখানে স্টোকে গত বছরের মাছ রয়েছে। ফলে চাহিদা কমের পাশাপাশি দামও কম। তিনি আরো বলেন ইতপূর্বে বাগদা চিংড়ীর দাম ও চাহিদা কম ছিল। যা বর্তমান স্বাভাবিক হয়েছে। অনুরুপ ভাবে বৈদেশীক বাজারে চাহিদা সৃষ্টি না হওয়া পযর্ন্ত দাম বৃদ্বির সম্ভাবনা দেখছিনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবু বকার সিদ্দিকি বলেন ডুমরিয়ায় মৎস্য চাষিদের উন্নত মানের চিংড়ি উৎপাদনের জন্য সাড়ে ১৩ কোটি পোণা প্রয়োজন হয় কিন্তু ডুমুরিয়ার হ্যাচারিতে উৎপাদিত হয় ৬০ লক্ষ, বাকি ১২ কোটি ৪০ লক্ষ এর ঘাটতি থাকে। মৎস্যচাষিরা পার্শ্ববতী জেলা থেকে মৎস্য পোণা আমদানি করে থাকে এতে উৎপাদন খরচ বেড়েযায় ফলে চিংড়ি চাষিরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।
জুয়েল 01911981248
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy