ডেস্কঃ
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর নিয়ন্ত্রিত কর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অনুদান ব্যতীত ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই ঘাটতি ৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদে ২০২০–২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে দুপুরে মন্ত্রিসভায় বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, ঘাটতি অর্থায়নে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক অনুদান থেকে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উতসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যঅঙক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।এটি দেশের ৪৯তম আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট। করোনা মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।