
আকাশ মার্মা মংসিংবান্দরবানঃ
বিভিন্ন কর্মসূচী মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বান্দরবানে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত থেকে জাতির পিতা শেখমুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
আজ রবিবার ৭ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে জেলা প্রশাসক আয়োজনে মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এই সময় আলোচনা সভায় ছিলেন,বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন আক্তার তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার, সিভিল সার্জন ডাঃ অংশৈপ্রু, পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীরসহ জেলা রাজনৈতিক অঙ্গসঙ্গ নেতা ও সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তাগণ প্রমুখ।
বক্তব্য প্রধান অতিথি বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ রবিবার। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা গৌরবের এক অনন্য দিন। ৫০ বছর আগের এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে গর্জে উঠেছিল উত্তাল জনসমুদ্র। ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার ঘোষণাধ্বনি। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভাষণ নেই যার মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র জন্ম লাভ করে। ১৯৭১ সালের পড়ন্ত বিকেলে যারা সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রত্যক্ষ করেছেন, যারা শুনেছেন, যারা ভবিষ্যতে শুনবেন তারা জানেন এবং জানবেন সেদিন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তাঁর সবটুকু প্রেরণা থেকে রচিত। যে প্রেরণায় মিশে ছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালির স্বাধীনতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন।
তিনি আরো বলেন, এ ভাষণ আমাদের জন্য আজও প্রেরণার। এ যেন ভাষণ নয়, রক্তে লেখা গাঁথা। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনে সকল শহীদের রক্তে রচিত এ এক অমর কাব্য। যে মহাকাব্য ন্যায় এবং শোষিতের পক্ষে কথা বলে। অন্যায় ও অত্যাচারের বিপক্ষে বলে। সতর্ক করে ষড়যন্ত্রীদের ব্যাপারে যারা ছদ্মবেশে আত্মকলহ ও অরাজকতা করবে। দ্ব্যর্থহীনভাবে অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মুক্তির কথা বলে। আইনের শাসন ও সোনার বাংলা গড়ে তোলার কথা বলে। বলে মত-দ্বিমত ও ভিন্নমতের কথা। সংখ্যাধিক্য নয়, ‘যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজন যদিও সে হয় তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব’ বলে। এ এক চিরকালীন সত্য বাণী। ৭ মার্চের ভাষণ ৫০ নয় ৫৫০ বছর এবং তৎপরবর্তীতেও শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বলে যাবে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাস। এ ইতিহাস বিস্মৃত হওয়ার নয়; স্মরণের, অনুসরণের।
অনুষ্ঠান সমাপ্তির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনে নৃত্য ও দেশত্ববোধক সংগীত, ভাষণ, কবিতা, আবৃত্তি ও চিত্রাংকণ অংশ নেওয়া বিজয়ী প্রতিযোগিতাদের পুরস্কার বিতরন করেন অতিথিরা।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply