প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২২, ২০২৫, ১১:১৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২২, ২০২১, ৩:১২ পি.এম
বান্দরবানে ঝাড়ু ফুলের লাভবান ব্যবসায়ীরা

আকাশ মার্মা মংসিং বান্দরবানঃ
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ঝাড়ু ফুলের মৌসুমে যেন ভরে যায় পাহাড়ে আনাচে কানাচে। এক ঝাঁক ঝাড়ু ফুলে দাম ৬-৭ টাকা। রুমা,থানছি,রোয়াংছড়ি, বাঘমারা সহ বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল পাহাড়ে চলে ঝাড়ু কাটার উৎসব। পৌষ হতে চৈত্র মাসে মৌসুমে যান ভরে যায় পাহাড়ে ঝাড়ু ফুলের। একটি ফুলের ঝাড়ু তৈরিতে প্রয়োজন হয় দুই থেকে চার আঁটি ঝাড়ু ফুল।
বান্দরবান শহর থেকে এই ঝাড়ু ফুল কিনে নিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ও ঝাড়ু তৈরি করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে বিক্রির জন্য সরবরাহ করেন। ঝাড়ু ফুল সংগ্রহ ও বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে বান্দরবানে শতাধিক ব্যবসায়ীরা।
এই দিকে ঝাড়ু মৌসুম আসলে ব্যবসায়ীদের ঝাড়ু ফুলে সংগ্রহ জন্য পাহাড়ি এলাকা দৌড় ঝাপ পড়ে। এই ঝাড়ু ফুলের সংগ্রহের পর পৌছে যায় শহরে গ্রামে গঞ্জে। যা এক আটি ঝাড়ু থেকে লাভ থাকে ১-৩ টাকা মতন। বান্দরবান সদর এলাকা দেখা যায় ঝাড়ু ফুলের গোদামজাত,সেই সাথে চলছে ঝাড়ু বাধা কাজও।
একে একে বেধে দেওয়া হয় ঝাড়ু ফুল।তবে প্রক্রিয়াজাত যেন বহুদিন রেখে যা খরচ অধিক হয়ে থাকে। তবে শহরে পৌছে দেওয়ার পর যা আসে সেটাই তাদের লাভের অংশ পাওয়া বলে চলে।
বান্দরবান বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ঝাড়ু ফুলে ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন(৪৫) জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে ঝাড়ু সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই ঝাড়ুকে গুদামজাত করে রাজধানীতে প্রেরন করি । যা রাজধানীতে বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকা। তিনি আরো জানান, জানুয়ারী হতে ফেব্রুয়ারি মাসে কাঁচা ঝাড়ু ফুল কিনে সরক্ষন করে রাখেন গুডামে। পরে সেই ঝাড়ু ফুল পেকে গেলে শ্রমিক মাধ্যমে সমান অংশে কেটে ফেলেন যাতে বাজারে বিক্রি জন্য উপযুক্ত হয়।পরে সেই ঝাড়ু কেটা শেষ হলে গাড়ি মাধ্যমে রাজধানীতে পাঠিয়ে দেন যা খরচ হয় সর্বমোট লাখের ও বেশী তবে লাভ থাকে ১৫-২০ হাজার টাকা। বলেন, এই ১৫ বছর ঝাড়ু ফুলের ব্যবসা জীবনে কিছুটা ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছি। তবে মাঝে মাঝে ঝাড়ু দাম নড়বড়ে হয়ে যায় তবুও লাভ থাকে সীমিত মতন।
হাফেজঘোনা ঝাড়ু ব্যবসায়ী মোঃ মাহবুব (৪০) বলেন, বাজারে ঝাড়ু ফুলে দাম বাড়লে লাভের অংশ থাকে দ্বিগুন। কিন্তু ঝড় আশঙ্কা দেখা দিলে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে বলে জানান।
তিনি ২৫ বছরে ব্যবসায় নিয়ে উল্লেখ করে বলেন, ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছি । লাভের অংশ আগামাথা খুজে পাওয়াটাই মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে পরে। ধার দেনা থেকে যায় অনেক কাছে। তবুও ঝাড়ু ফুলে ব্যবসা লাভ থাকে।
তবে কষ্ট হয় বিভিন্ন পাহাড় এলাকা হতে ঝাড়ু ফুল সংগ্রহ করতে। কিছু কিছু গ্রাম আছে যা কোন যাতায়াত নাই। বহুদুর পথ হেটে আসতে হয় ঝাড়ু নিয়ে। সেই কষ্টের ফল মাঝে সাঝে অচল হয়ে পরে। দাম দর ঠিক ঠাক না পেলে মাথায় ভাজ পরে যায়। তবে সামনে বছরে আরো লাভের অংশ বেশী হবে বলে আশাব্যক্ত করেন।
এইদিকে, এক মৌসুমে অর্থাৎ দুই থেকে আড়াই মাসে একজন ঝাড়ু ফুল ব্যবসায়ীদের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হয়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy