বারহাট্টা উপজেলায় সরকার হালট উদ্ধার কাজে বাঁধা
আলী আজগর পনির নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিথন বড়গাঁও গ্রামের সরকারি হালট উদ্ধারে বাঁধা দেয় দুর্বৃত্তরা ।
গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য সরকারি হালটে রাস্তা হওয়ার বরাদ্দ দেয়। কিন্তু বরাদ্দের কাজ করতে পারছে না এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত ও হালট দখলদারদের বাঁধার কারণে। বারবার বাঁধা যেন দাপটের সহিত করে যাচ্ছে । অবশেষে এলাকার পক্ষ হয়ে মোঃ বাবুল মিয়া ছেলে রিপন মিয়া বারহাট্টা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর ভাবে লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বারহাট্টার প্রশাসন সার্ভেয়ার কে সরেজমিনে হালট বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন এবং তিনি ২৪ শে জুন সেখানে যান গেলেও কোন লাভ হয়নি দ্বিতীয়বারের মতোই আবারো তিনি মাপ না দিয়েই ফিরে আসতে হয়েছে দুর্বৃত্তদের বাঁধা দেওয়ায় । আর সেই দুর্বৃত্তদের মজুদদাতা হালট দখলকারী রেজাউল করিম মাস্টার, হাবিব মাস্টার, আসাদুজ্জামানসহ ওয়ার্ডের মেম্বার নূর আমিন।আর দুর্বৃত্তরা হল মতৃ. মজু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল, মতৃ.মুসলিম উদ্দিনের ছেলে হাসেম, মিরাজের ছেলে হিরণ, মনির
এদিকে শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষ এ রাস্তা হলে যোগাযোগ করতে সহজ হবে, রাস্তা না থাকেই বর্ষা মৌসুমে কাদা পানি উপেক্ষা করে মসজিদ ও ছোট শিশুরা স্কুলে গিয়ে থাকে যা তাদের জন্য দূর্ঘটনার আশংকায় থাকতে হয়।
মেম্বার নূর আমিন বলেন,চেয়ারম্যান আমাকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে ঝামেলা যেন না হয় , একদিন পরে মাপামাপি করার জন্য বলেছেন কিন্তু সার্ভেয়ার এখন এসেছে, তাই এখন সবার ক্ষিপ্ত হয়ে আছে যেকোন সময় বড় ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম জানান, তিনি সরেজমিনে গিয়ে ছিলেন এবং সেখানে উভয় পক্ষ কে ঝগড়া বিবাদ না করার জন্য এবং মাপের সময় ও না থাকে।তাছাড়া শুক্রবারে উভয়পক্ষকে ডেকে বসবেন।
নির্বাহী অফিসার গোলাম মোরশেদ বলেন, আমার কাছে উভয় পক্ষের লোকেই এসেছে , সরকারি জায়গা তো কেউ নিতে বা দখল করে রাখতে পারবে না তবে দুই পক্ষকে ডেকে আনবো। তাছাড়া মানুষের ক্ষতি না হলে বাঁধা দিবে কেন। সরকারি হালট উদ্ধার করবো এবং রবিবারে মধ্যে সমাধান করা হবে ।
সুবিধাভোগীরা বলেন,আমরা সারাবছর এই চিকন আইল দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। মসজিদে কাদা পানির পেরিয়ে যেতে হয়, আমাদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় থাকি কখন পানিতে পরে যায়, বই ভিজিয়ে নিয়ে আসে ।স্কুলের ও রাস্তা নেই অনেক কষ্ট করে স্কুলে যাওয়া আসা করে।এতে দিনে রাস্তা টা হবে বলে অনেক আশাবাদি
অনেক আগেই হয়ে যেত কিন্তু হালটের দখলকারীরা মাপতে দেয় না। তাছাড়া সরকারি হালট নিবে তাদের তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে বারহাট্টা উপজেলার প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি আমাদের চলাচলের জন্য রাস্তা করে দিবেন।এবং যারা সরকারি কাজে বাঁধা দিচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান ।
Leave a Reply