নিরেন দাস(জয়পুরহাট)প্রতিনিধিঃ-
সারাদেশে চতুর্থ ধাঁপে ৫৪ টি পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন পৌর নির্বাচন কে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের আসন্ন আক্কেলপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী ও ৪৯ জন নারী পুরুষ সাধারন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
আক্কেলপুর পৌর নির্বাচনে বিএনপি,বিএনপির স্বতন্ত্র,ইসলামি আন্দোলন ও সাধারন একজন মেয়র প্রার্থী থাকলেও ক্ষমতাশীল দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মোঃ শহীদুল আলম চৌধুরীর পক্ষে ভোটাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করে নৌকার ভোট চেয়ে দিনরাত ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছায় মেয়র পদ থেকে শরে দাঁড়ানো উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর। তার দিনরাত প্রচারণায় রয়েছে গণসংযোগ,পথসভা, উঠান বৈঠক,বাজারে লিফলেট বিতরণ, মিছিল সহ ৯ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি মহল্লায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটাদের বুঝিয়ে নৌকা মার্কার ভোট চাওয়া।
তার এমন ব্যাপক প্রচারণা আর অন্যদিকে ভোটাদের চুলছেঁরা নানা প্রশ্নের জবাব ও উৎসবমুখর পরিবেশ গুলো প্রতিবেদকের নজরে আসলে তার দিনরাত এমন প্রচার প্রচারণা কেন-? এবং তার ব্যাপক সমর্থন ও জনপ্রিয়তা থাকা শর্তেও তিনি কেন স্বেচ্ছায় মেয়র পদ থেকে শরে দাঁড়ালেন এমন বিষয় নিয়ে বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন,আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে গড়া,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতিতে বিশ্বাসী আমার রাজনৈতিক আস্থা ও অভিভাবক মাননীয় হুইপ,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আমার দীর্ঘ দিনের রাজনীতিতে আমি যা বুঝি তার হচ্ছে তৃনমূল পর্যায়ে একতন্ত্র চেয়ারে বসে নেতৃত্ব দেয়া ঠিক নয়। অন্য নেতাকর্মীদেরও স্বপ্ন আছে ওই চেয়ারে বসে জনগণের সেবা করার এমনটাই ভেবে আমার দলীয় সমর্থন ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা শর্তেও আমি এবারের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই ঘোষণা দিয়েছি এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন মিলে সচ্ছ,পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহীদুল আলম চৌধুরীকে সমর্থন করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তাকেই নৌকা প্রতীক দিয়ে মনোনীত করেছেন।আমি দলের মূল একটি নেতৃত্বে থাকাই এই পরিশ্রম করা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। আপনি সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যেভাবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন তা অন্য নেতৃবৃন্দদের মাঝে লক্ষ করা যাচ্ছেনা যা আপনার মাঝে দেখা যাচ্ছে-? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কেন এমন প্রচারণায় নেমেছি তার কারণও রয়েছে তার সবচেয়ে বড় বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে দলীয় প্রতীক দিয়ে মনোনীত করেছেন এখানে প্রতীক একটি বড় বিষয় পাশাপাশি আমি বিগত দিনে ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং দলীয় প্রতীক নিয়ে পৌর নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এখনো দায়িত্ব পালন করছি,কিন্তু বর্তমান নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নিয়ে যিনি নির্বাচন করছেন,তিনি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে কর্মী হিসেবে নির্বাচন করেছেন, প্রার্থী হিসেবে এই প্রথম নির্বাচন করছেন তাই তাকে উৎসাহিত জাগানোও একটি বিষয় এবং স্থানীয় ভাবেও তাকে সমর্থন দিয়েছি বলেই নৌকার বিজয়ের মালা তাকে পড়িয়েই ঘরে ফিরবো যা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই আমি মাঠে নেমেছি। তিনি আরো বলেন আমি শুধু একাই নয় আমার সাথে সর্বক্ষণ উপজেলা আওয়ামীলীগ,পৌর আওয়ামীলীগ,ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে দিনরাত ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যা ১৪ এ ফেব্রুয়ারি নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেই সকলেই ঘরে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..