নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীতে মহাসমাবেশ করতে বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। একই সাথে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শান্তি সমাবেশ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে যাওয়ার পরামর্শ তার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে মহাসমাবেশ করতে ডিএমপির কাছে অনুমতি চায় বিএনপি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি ডিএমপি। অন্যদিকে, একই দিন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় শান্তি সমাবেশ করতে চায় যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। তারাও এখনও অনুমতি পায়নি। এছাড়াও আরও সাতটি সংগঠন একই দিন রাজধানীতে সমাবেশ করতে ডিএমপির কাছে আবেদন করেছে।
ডিএমপি কমিশনারের পরামর্শের বিপরীতে এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
বৃহস্পতিবার কর্মদিবস হওয়ায় দুই বড় রাজনৈতিক শক্তির সমাবেশের কারণে রাজধানী অচল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। জনদূর্ভোগ বিবেচনায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ছুটির দিনে করতে রাজনৈতিক দলগুলোতে আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘কর্মদিবসে এসব আয়োজনে জনভোগান্তি বাড়ে। ওয়ার্কিং ডে তে এই ধরনের বিশাল বিশাল সমাবেশ করে ঢাকা মহানগরকে অচল করে দেওয়া, লাখ লাখ মানুষকে রাস্তা যানজটের মধ্যে আটকে রাখা এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারা যেন ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডের পরিবর্তে তাদের কর্মসূচি বন্ধের দিনগুলোতে নিয়ে যান।
এছাড়া সমাবেশ স্থলে পতাকা-ফেস্টুনের আড়ালে লাঠিশোটা আনা যাবে না মনে করিয়ে দিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবিলার পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘যারা সমাবেশস্থলে আসবেন তারা যেন কোনভাবেই লাঠিসোটা নিয়ে না আসেন, কোন ব্যাগ নিয়ে না আসেন যাতে বিস্ফোরক থাকতে পারে, কোন স্যাবোটাজ হতে পারে।’
এরআগে, গত বছরের ডিসেম্বরে বিএনপির নয়া পল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চাইলে তাদের গোলাপবাগ অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলো ডিএমপি। শুরুতে আপত্তি জানালেও পরে নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্যে বিএনপি গোলাপবাগে তাদের সমাবেশ করে।