ফিরোজ,বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে গ্রাম অঞ্চলের সহজ সরল মানুষের আঁধার কাটিয়ে আলোর মুখ দেখার প্রবল ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিদ্যুতের খাম্বা স্থাপনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের চিহিৃত এক দালাল। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত টাকা না দেওয়ায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে অনেক পরিবারকে। ওই দালালের হাতে লাঞ্ছনার শিকারও হয়েছে এক গৃহবধূ। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে ছোট ডালিমা গ্রামে। চিহিৃত ওই দালালের নাম মো. মহসিন হাওলাদার (৩৫)। সে ছোট ডালিমা গ্রামের মো. হানিফ হাওলাদারের ছেলে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামে ২০টি পরিবার কাছ থেকে মিটারের ১০হাজার এবং খাম্বা (খুঁটি) স্থাপণ করতে দিয়ে হয় ৩০ হাজার টাকা নেয় মহসিন। চুক্তিকৃত টাকা না দিলে নেমে আসে হুমকি, লাঞ্ছনা।
লাঞ্ছনার শিকার ছোট ডালিমা গ্রামের নুরনাহার বেগম নামের এক গৃহবধূ জানায়, একটি খাম্বার জন্য মহসিনের সাথে ৩০হাজার টাকা চুক্তি হয়। ২০হাজার টাকা অগ্রীম দেওয়া হয় তাকে। তবে টাকা নেওয়ার ৩মাসের মধ্যেও খাম্বা দিতে পারেনি মহসিন। পরে অপর এক দালালের মাধ্যমে খাম্বা পান তাঁরা। তবে তারপরেও মহসিনকে বাকি ১০হাজার টাকা দিতে হয়। টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয়।
একই গ্রামের খলিল পেশকার বলেন,‘ আমার খামারে সরকারি ভাবে বিদ্যুতের খুঁটি দেওয়া হয়। তারপরও মহসিন টাকা দাবী করে হুমকি দিয়ে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহসিন দালাল ছোট ডালিমা গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবারের কাছ থেকে প্রায় ২লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আর এসব পরিবারের মধ্যে অনেক পরিবারই অস্বচ্ছল। অনেক ঋণ করে আবার কেউ সোনার অলংকার বন্ধক রেখে তাকে টাকা দিয়েছে।
মহসিন দালালকে সংযোগের বিনিময় টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এসহাক সরদার, ছালাম মাষ্টার, ফোরকান, জাহাঙ্গীর, কবির, শাহআলম, নান্নু পেশকার, আইয়ব আলী সহ অনেকে। তাঁরা বলেন- মহসিন দ্রæত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মহসিন হাওলাদার বলেন- অফিসের ইঞ্জিনিয়ারদের খরচ বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎৎ সমিতির ডিজিএম এ.কে.এম আজাদ বলেন, যারা সাধারন গ্রহকদের কাছে সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা দাবী করে তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিন।