জ্বর আর পায়ে ফোঁড়া নিয়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। চিকিৎসা শেষে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হতে পারছেন না। কারণ চিকিৎসাবাবদ হাসপাতালের যে বিল উঠেছে তা তিনি পরিশোধ করলেই তাকে বের হতে দেয়া হবে। বিলের পরিমাণ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এত ছোট রোগে এত বিল উঠবে তা তার ধারণার বাইরে ছিল।
এ বিষয়ে বুধবার তসলিমা নাসরিন তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে ফুটে উঠেছে কলকাতায় চিকিৎসা ব্যয়ের চিত্র। তবে তিনি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করেননি তার স্ট্যাটাসে।
তার স্ট্যাটাসটি নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো- ‘পাঁচদিন পর হাসপাতাল থেকে বেরোতে চাইছি কিন্তু বেরোতে দেয়া হচ্ছে না। টাকা পুরো শোধ করলেই তবে বেরোতে পারব। টাকা কত? ১ লাখ ৬৫ হাজার। কী অসুখ হয়েছিল আমার? গায়ে জ্বর আর পায়ে ফোঁড়া। জ্বর কমাতে আর ফোঁড়া গালাতে খরচ যে এত, জানলে এ মুখো হতাম না। খুব যে দামি ক্লিনিকে এসেছি তা কিন্তু নয়।’
‘ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সারাদিন দেখছি-ভাবছি, শেষে না করে দিল তারা পে করবে না। অসহায় মানুষটি চারদিকে হাতড়াচ্ছি। যত থলে রেখেছি এদিকে সেদিকে, ঝেড়ে ঝেড়ে দেখছি মুক্তি পেতে পারি কি না...। না এভাবে চলবে না। এরপর জ্বর হলে নিজেই জলপট্টি দেব, ফোঁড়া হলে নিজেই ফুটো করে পুঁজ-রক্ত বের করে নেব।’
তার এই স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্টে পূরবী রায় নামের এক নারী লিখেছেন- অদ্ভুত! জ্বর আর ফোঁড়ার জন্য এত টাকা বিল। মাথাই নষ্ট।
ফারুক ভূঁইয়া রবিন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, মুখরোচক ভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘চিকিৎসা সেবা’। কিন্তু বাস্তবে সেবার নামে যা হয়ে থাকে, তাকে গলাকাটা ব্যবসা বললেও কম বলা হবে।
দেবাষিশ ঘোষ নামের আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশিকা অনুসারে কাউকে বিল পে না করতে পারার জন্য আটকে রাখা যায় না। হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায়। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আপনার পোস্ট না পেয়ে চিন্তায় ছিলাম। আর যদি এই অধমের কাছে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় তো বলবেন। কৃতজ্ঞ থাকব।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy