বদরুন্নাহার চৌধুরী লিটা নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
‘বিশেষ পরীক্ষার’ সুযোগ পাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা
অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ‘বিশেষ পরীক্ষার’ সুযোগ দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পাবেন।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৯৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশব্যাপী অনার্স প্রথমবর্ষে ভর্তি হওয়া ৪ লাখ নবীন শিক্ষার্থীকে ওরিয়েন্টেশন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওরিয়েন্টেশনে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার, কোভিডকালিন স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয় দিকনির্দেশনা দিবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত তারিখে স্ব স্ব কলেজে এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তসহ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া কোভিডের কারণে যেসব শিক্ষার্থীর মনোবল ভেঙে পড়েছে, তাদের মনোবল ধরে রেখে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য নিয়মিত কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় তিনজনকে এমফিল এবং দুইজনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অ্যাকাডেমিক কমিটিতে দুইজন অধ্যাপককে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়।
সভায় সমাপনী বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এবং ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। তারা আশা করেন নতুন ভিসির গতিশীল নেতৃত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো. হামিদুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে শিক্ষক অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, চট্টগ্রামের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ, রাজশাহী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল খালেক, সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহজাহান আলী, লালমাটিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা আইন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মুনজুর কাদের, বান্দরবান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ ৩৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।