আলী আজগর পনীর,
আজ থেকে শুরু হল ক্রিকেটের ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। উদ্বেধনী দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ওমান ও ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি।
ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির ক্রিকেট ইতিহাস বেশ পুরনো নয়। নতুন হলেও প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালো ওমান। অপর দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ প্রথম খেলতে নেমে ইতিহাসের অংশ হল পাপুয়া নিউগিনি।
২০১৫ সালের জুলাইতে নামিবিয়াকে হারিয়ে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পায় স্বাগতিকরা। এরপর ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার মর্যাদা পায়।
তাই প্রথমবারের মত বিশ্বমঞ্চে এসে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি পাপুয়া নিউগিনির ক্রিকেটাররা। ম্যাচের আগে নিয়মানুযায়ী জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় আবেগঘন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয় ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে দেশের জাতীয় সংগীত শুনতে পেয়ে কাঁদলেন পাপুয়া নিউগিনির কয়েকজন ক্রিকেটার ও দলের সহযোগী কর্মকর্তারা।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে পাপুয়া। কেনিয়ার বিপক্ষে হারতে যাওয়া ম্যাচে জিতে জায়গা করে নিয়েছে এবারের বিশ্বকাপে।
উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে পাপুয়া ইউগিনিকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদ। ব্যাট করতে এসে স্কোরবোর্ডে কোন রান না তুলতেই দুই ওপেনারকে হারায় পাপুয়া। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি। দুজনের জুটিতে আসে ৮১ রান। আমিনির বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ২৬ বলে ৩৭ রান তুলেন তিনি। এরপর সেস বাউকে নিয়ে দলীয় স্কোর ১০০ পার করে আসাদ।
ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আসাদ বিদায় নিলে পাপুয়ার রানের চাকা সেখানেই থমকে যায়। এরপর শুরু হয় পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটিং ধস। ১০২ রানে চার উইকেট থেকে ১১৮ রান করতেই আরো ৫টি উইকেট হারায় তারা। ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে পাপুয়া নিউগিনির সংগ্রহ ১২৯ রান।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy