সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫২ হাজার ২৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ১৭৩ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় সংখ্যার দিক থেকেই বিশ্বে এখনো শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৬২ জনের।
মৃতের হিসাবে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৮ হাজার ৫৫ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ১৬ হাজার ১৯৬ জন।
তৃতীয় স্থানে এবং ইউরোপের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৫১৭ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭৯ জন।
এছাড়া ইতালিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৯১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ১৪৯ জন। মেক্সিকোতে করোনায় ৩২ হাজার ৭৯৬ জনের মৃত্যু ও ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৮১ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। করোনা ভাইরাস এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। এই রোগ মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।
তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে।