রাকিব মৃধা (বেতাগী, বরগুনা):
বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদী ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে বেতাগীর মানচিত্র।এতে প্রায় ২০ হাজার পরিবার ঝুঁকির মুখে পড়েছে।ফলে এসব মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় একটানা বর্ষা থাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি এবং পৌর শহরের পশ্চিম দিকে শৌলজালিয়া এলাকায় ছৈলার চর নামক একটি চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাড়ে বেতাগীর পৌর শহর এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দিন দিন ভাঙনে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর পূর্ববর্তী এলাকায় বেতাগী পৌর শহর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দক্ষিণবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠবাজার, হাসপাতাল, সনাতন শত বছর পুরোনো কালি মন্দির শ্মশানঘাট, ও ঝোপখালী গ্রাম, পুরোনো থানাপাড়া, কেওড়াবুনিয়াসহ বিষখালী নদীর ভাঙনে ঝুঁকির মুখে ২০ হাজার পরিবার।
৪ কিলোমিটারব্যাপী ভাঙনের কবলে পাল্টে যাচ্ছে বেতাগীর মানচিত্র।
ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর পূর্বদিকে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা অবস্থিত।পশ্চিম দিকে ঝালকাঠী জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলা। উত্তরে ঝালকাঠীর সুগন্ধ্যা নদী ও বরিশালের কীর্ত্তনখোলা নদী, দক্ষিণে বলেশ্বর নদী ও বঙ্গোপসাগরের সাথে প্রবাহিত। নদীর স্রোত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নদীর বিপরীত দিকে চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত পরিবর্তিত হয়ে পূর্বদিক বেতাগী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে ভেঙে যাচ্ছে বেতাগীর পৌর জনপদ।
কাঠবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও দোকান মালিক অধ্যক্ষ মো. রফিকুল আমিন বলেন, কাঠবাজার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তা না হলে নদী যেভাবে ভেঙে যাচ্ছে বছর খানিক এর মধ্যে কাঠবাজারের অস্তিত্বই থাকবে না।
উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, এ বন্দরের কালীমন্দির ও শ্মশানঘাট রক্ষার জন্য সরকারের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
নদী ভাঙন এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক জানিয়েছে আমরা ঝুঁকি অবস্থায় আছি। সরকার যদি বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তবে বেতাগী উপজেলা চরম দুর্ভোগে পরে যাবে
বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির বলেছেন বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে খুব শিগ্রই ব্যাবস্তা করা হবে।
বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন,বিষখালী নদী ভাঙন বন্ধ করা সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..