ওয়াকিল আহমেদ,
বুদ্ধিজীবী ও নেতৃত্ব নিয়ে দিশেহারা বিএনপি
রাজপথের আন্দোলন কিংবা গণমানুষের চাওয়া-পাওয়ার দিকে গুরুত্ব নেই বিএনপির। বরং নিজেদের ভেতর ক্ষমতার লড়াই আর দেশকে অস্থিতিশীল করা নিয়েই সময় পার করছে দলটি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছর পেরিয়েছে। কিন্তু এখনো নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে দলটি। ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক পথ কখনোই অনুসরণ করেনি বিএনপি। বরং বারবার তাণ্ডব চালিয়ে সরকার গঠন করেছে তারা। এরপর শুরু করে লুটতরাজ।
এদিকে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় যেতে না পেরে দলের নেতাকর্মীরা পাগলপ্রায়। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রায় সব নেতাই এখন উন্মাদের মতো জীবনযাপন করছেন।
কারণ হিসেবে দেখা গেছে, ক্ষমতায় থাকাকালীন টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও তদবিরসহ নানা বিষয়ে হাওয়া ভবনের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে সেই সুযোগ না পাওয়ায় নিজেদের অর্থভাণ্ডারও খালি হয়ে এসেছে। কোনো কোনো নেতার তো যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পেটানোর নজিরও সামনে এসেছে। একই সঙ্গে বিএনপিকে ধীরে ধীরে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করছে তাদেরই বুদ্ধিজীবী সমাজ।
তারা নানা বিভ্রান্তমূলক কথা বলে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। গুজব রটনাকারী হিসেবে কেউ কেউ বিবেচিত হয়েছেন। আর একদল বুদ্ধিজীবী তো নারীতে মজে রয়েছেন।
জানা যায়, বিভিন্ন টকশো কিংবা সামাজিক মাধ্যমে বিএনপিপন্থী যে লোকগুলো কথা বলেন, তারা সবাই কোনো না কোনো দল থেকে বহিস্কৃত। কেউবা আবার মিডিয়াতে অবাঞ্চিত। আবার কেউবা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খেয়ে বিদেশে বসে আছেন। আবার কেউবা রয়েছেন যৌন নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলার আসামি।
বিএনপিতে স্থান না পাওয়া বেশ কজন ত্যাগী নেতা এরই মধ্যে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ভণ্ড বুদ্ধিজীবী, দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান, আর ভণ্ড নেতৃত্বে তারা রাজনীতি করবেন না বলেও ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে জনগণ থেকে দলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।