সংশ্লিষ্টরা সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানি পণ্যবাহী প্রতিটি গাড়ীর জন্য ব্যবসায়ীরা বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রবেশ ফি ১৩১.৭৯ টাকা, ওজন ফি ৬৫.৯২ টাকা পরিশোধ করে ব্যবসা করে আসছে।
গত শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে হঠাৎ করে কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিটি রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ীর প্রতি রাত্রিকালীন বন্দরের ইয়ার্ডে অবস্থান ফি ১৭১.৩৬ টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমদানি- রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সাথে স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈর সাথে বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এতে ট্রাক চালক ও ব্যবসায়ীরা সকাল ৮ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রাখে। পরে খবর পেয়ে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমদানি- রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ রুহুল আমীন বাবুল, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার, সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈর সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের হলরুমে এক জরুরী আলোচনাসভায় মিলিত হন। বৈঠক শেষে ট্রাক চলাচল ও পণ্য আমদানি- রপ্তানি স্বাভাবিক করা হয়। এ সময় আমদানি- রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত, বুড়িমারী ট্রাক ট্র্যাংলড়ী কাভার্ডভ্যান চালক সমিতির সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আমদানি- রপ্তানিকারকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ বলেন, সরকারি ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী রপ্তানি পণ্যবাহী প্রতিটি গাড়ীর রাত্রিকালীন ফি আদায়ের চেষ্টা করলে এটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কতিপয় ব্যবসায়ী ও চালকেরা সমস্যা তৈরি করে। আমি সিকিউরিটি অফিসারকে বলেছি গেট খুলে দিতে।
এখন কোনো সমস্যা নেই।
পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমদানি- রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ রুহুল আমীন বাবুল বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে রপ্তানি পণ্যবাহী প্রতিটি গাড়ীর রাত্রিকালীন ফি আদায়ের ঘটনায় ভুল বুঝাবুঝির ঘটনা ঘটে। এটা সমাধান করা হয়েছে। পরবর্তীতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।