1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বৃষ্টি মহান আল্লাহর রহমত,
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

বৃষ্টি মহান আল্লাহর রহমত,

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬.২৮ পিএম
  • ২০৯ বার পঠিত

এম হাবিব পেকুয়া প্রতিনিধি্ঃ
আজ সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি হলেও রাতের বৃষ্টি যেন আরামদায়ক উষ্ণতা বেড়েছে। আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণের সঙ্গে আল্লাহ অনেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকেন। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের রিজিক উৎপন্ন বা বণ্টিত হয়ে থাকে। মূলত আল্লাহর হুকুম ব্যতীত এই বৃষ্টি বর্ষিত হয় না।

‘তিনিই আল্লাহ, যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃজন করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফলের রিজিক উৎপন্ন করেছেন এবং নৌকাকে তোমাদের আজ্ঞাবহ করেছেন, যাতে তাঁর আদেশে সমুদ্রে চলাফেরা করে এবং নদনদীকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন’ (সুরা ইবরাহিম :আয়াত ৩২)।

কোরআন আরও বলছে, ‘আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকি পরিমাণমতো, অতঃপর আমি জমিনে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণও করতে সক্ষম। অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্য এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাকো এবং ওই বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি, যা সিনাই পর্বতে জন্মায় এবং আহারকারীদের জন্য তেল ও ব্যঞ্জন উৎপন্ন করে’ (সুরা মুমিনুন :আয়াত ১৮-২০)।

আমাদের নবীজি বৃষ্টি এলেও দোয়া করতেন, আবার বৃষ্টি হওয়ার জন্যও দোয়া করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন :’আল্লাহুম্মা, সায়ি্যবান নাফিআ।’ হে আল্লাহ, এ যেন হয় কল্যাণকর বৃষ্টি (সহিহ বুখারি, ১০৩২)। বৃষ্টি আল্লাহর অনেক বড় রহমত ও নিয়ামত। বৃষ্টি না হলে বুঝতে হবে, আমরা একটা রহমত থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পবিত্র কোরআনের কয়েকটি আয়াত তা প্রমাণ করে। ‘তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে স্তরে স্তরে রাখেন। এর পর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়’ (সুরা রুম ৩০ :৪৮)। ‘আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, যাতে তা দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ ও পাতাঘন উদ্যান’ (সুরা নাবা :আয়াত ১৪-১৬)। ‘তিনিই স্বীয় রহমতের প্রাক্কালে বাতাসকে সুসংবাদবাহীরূপে প্রেরণ করেন এবং আমি আকাশ থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি বর্ষণ করি। তা দ্বারা মৃত ভূভাগকে সঞ্জীবিত করা এবং আমার সৃষ্ট জীবজন্তু ও অনেক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য। আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না’ (সুরা ফুরকান :আয়াত ৪৮-৫০)।

‘তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন; অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত ও সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর, যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপকস্ফতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এগুলোতে নিদর্শন রয়েছে ইমানদারদের জন্য’ (সুরা আনআ’ম :আয়াত ৯৯)। ‘তুমি কি দেখোনি, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি জমিনের ঝর্ণাগুলোতে প্রবাহিত করেছেন, এর পর তা দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তোমরা তা পীতবর্ণ দেখতে পাও। এর পর আল্লাহ তাকে খড়কুটোয় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্য উপদেশ রয়েছে’ (সুরা যুমার :আয়াত ২১)।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews