এম আর হাসান জেলা প্রতিনিধি

খুলনা  কৃষি ব্যাংকসহ সকল এনজিও সংস্থার ঋণ মৌকুভ, বিলডাকাতিয়ার খাল খনন করে নদীর সাথে সুইচগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃর্ষক ও মৎস্যচাষীদের সরকারী ভতুর্কর্ীসহ ক্ষতিপুরণের দাবীতে গতকাল শনিবার বিলডাকাতিয়ায় মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন। আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন বৃহত্তর মৎস্যচাষী সমিতি ও বিলডাকাতিয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসুচিতে প্রান্তিকের শতশত কৃর্ষক ও মৎস্যচাষীরা অংশগ্রহন করেন।

বিলডাকাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ইউনিয়ন বৃহত্তর মৎস্যচাষী সমিতির সভাপতি গাজী সেলিমের সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ আবুল কাশেমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর শেখ আব্দুস সালাম, সংরক্ষিত(৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) মহিলা মেম্বর মিসেস আম্বিয়া বেগম, মৎস্যচাষী নেতা বাবুল আক্তার, পায়রা বেগম, শেখ সামছুর রহমান, জগদিস বাবু, শেখ হেমায়েত উদ্দিন, নিমাই চন্দ্র বাড়ই, শেখ আশা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রান্তিক কৃর্ষক ও মৎস্যচাষীগণ।

মানববন্ধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শেখ আব্দুস সালাম বলেন‘‘ বিলডাকাতিয়ার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি সু-পরিকল্পিত পানি নিস্কাশনের অভাবে এখানকার মৎস্যচাষী ও কৃর্ষকরা ব্যপোক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের ইচ্ছেমতো পানি উত্তোলন করছে অপরদিকে কৃর্ষি ব্যংকসহ এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলো করোনা মহামারী এবং পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিলডাকাতিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষীদের কাছ থেকে সুদের টাকা আদায়ে নির্মম ও নির্দয় আচারণ করছে। তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যচাষী ও কৃর্ষকদের ভতুর্কী প্রদানসহ সকল ঋণ মৌকুভের দাবী জানান। মানববন্ধনে মৎস্যচাষী নেতা বাবুল আক্তার ক্ষতিগ্রস্থ কৃর্ষক ও মৎস্যচাষীদের ক্ষতিপুরণ ও আগামী ফসল মৌসুম পর্যন্ত সকল প্রকার ঋণ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্থক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন আটরা গিলাতলার বিলডাকাতিয়ার বিশাল এই জনগোষ্ঠি কৃষি ও মৎস্যচাষ করে দেশের অর্থনৈতিতে বিশেষ ভুমিকা রাখলেও দূযোর্গ কবলিত এ সকল অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে ইউনিয়ন বা সরকারি ভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কখন কেহ এগিয়ে আসেনি। তিনি কৃর্ষক ও মৎস্যচাষীদের দাবী পুরণে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।