নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাস দুর্যোগের কারনে শত শত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ফলে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ৫০ হাজার মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছেন। চাকরি হারিয়ে বাধ্য হয়ে তারা ঢাকা ছেড়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। অনেকের জমানো টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে গ্রামে ফিরেছেন।
হুমায়ৃন কবির তার জীবনের বড় একটা অংশই ঢাকায় কাটিয়েছেন। এখন তার কোন চাকরি নেই বলে ভোলা জেলায় বাবা-মার সাথে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতে হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি অনেকটাই বিব্রত।
“কয়েক মাস ধরেই আমি বেকার। ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে৷ কিন্তু এখন আর কোন আশা দেখছি না। অনেকভাবে চাকরি খুজেঁছি, কিন্তু মেলেনি। আমার জমানো টাকাও প্রায় শেষ”, মাহবুব হোসেনের বক্তব্য।
ঢাকা শহরজুড়েই চোখে পড়ছে বাসা ভাড়ার বিজ্ঞাপন। অনেকেই বেতন কমানোর শর্তে নিজেদের চাকরি বাঁচিয়ে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
ফাতেমা খাতুনের স্বামীর রাজধানীতে দোকান ছিল। কিন্তু বিক্রি না হওয়ায় তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ফাতেমা বলছিলেন, “ঢাকায় এসেছিলাম ভালোভাবে থাকার জন্য। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের ব্যবসা শেষ। সংসার চালাতে পারছি না বলে এখন ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছি।”
বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় এনজিও’র করা যৌথ জরিপ বলছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি মানুষই আর্থিকভাবে হুমকিতে।
সরকার করোনার এই সংকট কাটাতে সব মিলিয়ে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চলা শুরু করলেই কেবল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।