সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
নানা অব্যবস্থাপনায় জর্জড়িত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি যমুনা হসপিটালের ভূল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে সিজারিয়ান রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু রোগীর দায় এড়াতে স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ঐ হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আওতাধীন সমেশপুরে অবস্থিত যমুনা হসপিটালে মমতা খাতুন (৩৩) নামের এক মহিলাকে সিজার করেন ডাঃকমল কান্তি । সিজারের পরদিন মমতার তিব্র শ্বাসকষ্ট দেখা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ তরিগড়ি করে ছেড়ে দেয়। রোগীর পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়।
এবিষয়ে হসপিটাল পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খোকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মমতা নামের যে রোগী মারা গেছে তাতে আমাদের কোন হাত নেই। তার পূর্ব থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। সিজারের ২৪ ঘন্টা পর রোগীকে হালকা পানি জাতীয় খাবার দেওয়ার কথা বললে তার স্বামী ফ্রিজের পানি পান করায়। তার প্রেক্ষিতে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। আমরা রোগী অবস্থার সংকটাপন্ন দেখে তার পরিবারকে উন্নত চিকিৎসা দেবার পরামর্শ দেই। পরে জানতে পারি সে মারা গেছে।
মৃত মমতার স্বামী আজিজুল হক জানান, আমার স্ত্রীর কখনও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল না। আর আমি তাকে ফ্রিজের পানি পান করায় নি। সিজারের পরের দিন অর্থাৎ গতকাল (রবিবার) হসপিটাল থেকে পানি আর খাবার স্যালাইন আনার কথা বলে। আমি একটি খাবার স্যালাইন ও নরমল মাম পানির বোতল এনে দেই। তার পর তা হসপিটালে দায়িত্বরতরা আমার স্ত্রীকে খাবার স্যালাইন পানিতে মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ কর থেকে তিব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আবস্থা ভালো না দেখে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বলে রোগীর উন্নত চিকিৎসা দরকার। আমরা তাদের কথা মত রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে আমার স্ত্রী মারা যায়।
উল্লেখ্য প্রায় ৬ মাস পূর্বে অবস্থাপনা ও অপচিকিৎসার জন্য যমুনা হসপিটালকে জেলা সিভিল সার্জন অফিস কর্তৃক সিলগালা করা হয়। সিলগালা করার পরেও তাদের অপচিকিৎসার বলির পাঠা হলেন মমতা।