নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান রোস্টারিং পদ্ধতি বাদ দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে আগের মতো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শুক্র ও শনিবার বাধ্যতামূলক ছুটি রাখার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশে কার্যত সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এ প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকিং খাতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধে বিশেষ পরিস্থিতিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, নিরবচ্ছিন্ন জরুরি ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতকরণ, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা জোরদার করা, রোস্টারিং এর মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন ছুটি প্রদান, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন সহ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা স্বাভাবিক করার উদ্দেশে নতুন করে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেগুলো হলো ব্যাংকসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ঝুঁকিপূর্ণ, করোনায় আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সন্তানসম্ভবা নারীগণ চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করে অফিসে আগমন থেকে বিরত থাকবেন। আর ব্যাংকগুলোর সান্ধ্যকালীন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটিকালীন শুক্রবার ও শনিবার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে পূর্বের মতো পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশে সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৩ হাজার ২০০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৩ হাজার ৭৪০ জন কোভিড রোগী মারা গেলেন।
আর দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৩৪ জন এবং মোট সুস্থ ১ লাখ ৬২ হাজার ৮২৫ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ২০০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট শনাক্ত ২ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৪। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।