ভারি বর্ষণে আবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ভেঙে দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে। গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত টানা বর্ষণের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর আঞ্চলিক সড়কে এ ভাঙন সৃষ্টি হয়। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যান চলাচল। জানা গেছে, সদর উপজেলার গোকর্ণ এলাকা থেকে নবীনগর উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় পড়েছে। নবীনগরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গোকর্ণ এলাকা থেকে নবীনগর পর্যন্ত নতুন সংযোগ সড়ক ও পাগলা নদীতে একটি বিশাল সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু ও সংযোগ সড়কের কারণে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়। গত বুধবার দিবাগত রাত ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষনের কারণে সড়কটির নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে আশ্রাফপুর গ্রামে সড়কের অংশের মাটি সরে গিয়ে ভেঙে দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়ে। এতে করে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ভারী বর্ষণের কারণে প্রথমে সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। বৃহস্পতিবার সড়কটি মাঝখান থেকে ভেঙে দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। এর ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা। নবীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলামের সাথে একাধিকবার মোঠাফোনে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায় নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তামোহাম্মদ মাসুম জানান, খবর পেয়েছি, আমরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করতে যাবো। দ্রুত সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী করে তোলা হবে। উল্লেখ্য যে, গত ২৭ মে ভোরে বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটির সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর পশ্চিমপাড়ার অংশের মাটি সরে গিয়ে ভেঙে দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়ে। এতে করে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হয়।