লন্ডন থেকে জমির উদ্দিন সুমন :
করোনাভাইরস মহামারির থেকে উত্তরণে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বৃটিশ সরকার।ব্রিটেনের অর্থনৈতিক চাকা স্বচল করতে নানা ধরনের অনুদান, প্রনদনা ও সহজে লোন সহ সরকারের কার্যক্রমে সন্তষ্ট ব্যাবসায়ী সহ সাধারন জনগন। জনসাধারনের সকল ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার সদা প্রস্তুত।বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, সরকার নতুন করে উদ্দ্যোগ নিয়েছে ঘরবাড়ি নির্মাণের।সরকার মনে করে বসবাসের জন্য সুব্যবস্থা হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যায়।তিনি আরো বলেন,প্লানিং সিস্টেম ও বাজেট এবং কাজ দ্রুত করতে হবে। সুন্দর প্লানিং এর মাধ্যমে নতুন নতুন ঘরবাড়ি কমিউনিটি আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। সরকার প্রতিটি কাউন্সিলে বাৎসরিক পরিকল্পনার সাথে নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা থাকতে হবে। সেই অনুসারেই বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
গত ৩০ বছরের মধ্যে এবছর সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে হাউজিং এর উপর।সরকারের অফিসিয়াল ভাবে ২৪০,০০০ নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এর মধ্যে (পি ডবলিউ এল বি) ৭০ হাজার নতুন ঘরবাড়ি অতি দ্রুত নির্মাণ করা হবে। সরকার মনে করে মানুষের থাকার জায়গা নিশ্চিত হলে, স্বাস্থকর ও সুন্দর পরিবেশ হলে ভালো ঘুম হবে এবং শরীর স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকবে কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন। কাজের মাধ্যমেই দেশের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।বৃটিশ চ্যানেঞ্চলর ঋশি সোনাক, এফেডেভল হোম প্রগ্রামের জন্য ১২ বিলিয়ন পাউন্ড বাজেট ঘোষনা করেন। সাথে ১ বিলিয়ন পাউন্ড সেইফটি ফান্ডে রাখা হয়েছে। এতে করে নির্মান কাজের যেন কোন ব্যাঘাত না ঘটে। আরো ৩৮ বিলিয়ন পাউন্ড প্রাইভেট ও পাবলিক ইনভেস্টের জন্য রাখা হয়েছে।
তিনি মনে করেন,”বেশী বেশী বাসাবাড়ি নির্মান হলে এবং সহজ কিস্তিতে মর্গেজ বা লোন পেলে মানুষ বাড়ি কেনার প্রতি আগ্রহী হবেন।নিজেরা বাসার মালিক হবেন। এতে হোম লেসের সংখ্যা কমে আসবে,”।ঘরবাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে (এস এল এস) টেকনোলজি মাস্টার বিল্ডার্স সলিউশনস এখন অতি অত্যাধুনিক বিল্ডিং নির্মান করছে। যার সাথে থাকবে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা।(সি এস) কালার স্টাবলিস্ট বিল্ডিং নির্মাণের সাথে বিল্ডিং এর রং বা কালারের গুরুত্ব অনেক বেশী।একটি বাড়ি সারা জীবনের জন্য তাই সুন্দর কালার সুন্দর আসবাব পত্র দিয়ে তবে আরো মনোরম।ঘরবাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ক্লাইমেট চেন্জ বা পরিবেশ বান্ধব করে নির্মান করতে হবে। পরিবেশ যেন কখনো প্রতিবন্ধকতা না আসে। নতুন বিল্ডিং নির্মাণের সাথে সেই এলাকা হয়ে উঠে উন্নত।বাড়তে থাকে বসতি । রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যাবস্থা , দোকান পাট, শপিংমল ,নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দোকান সহ সব দিকেই সরকার এবং স্থানীয় কাউন্সিলের স্বজাগ দৃস্টি রাখতে হবে।সরকার মনে করে ব্রেক্সিট শেষ হলে আগামী বছরের শুরুতেই বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর লোক নতুন কাজের সন্ধানে বৃটেনে আসবে তাদের থাকার ব্যাবস্থা করতে হবে। নতুন নতুন লোক এলেই নতুন নতুন কাজের ব্যবস্থা হবে দেশের অর্থনৈতিক চাকা স্বচল হবে।