রোববার পশুর হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
মেয়র বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ছাড়া পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুরূহ। শিশু ও বয়স্করা যারা বিগত বছরে পছন্দের পশুটি কিনতে বিভিন্ন হাটে গরু দেখতে যেতেন, আমি অনুরোধ করবো এ বছর আপনারা এভাবে গরুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এ বছর ঢাকা শহরের ভিতরের বড় বড় কয়েকটি হাট শহরের প্রান্তসীমায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, আসলে এর ফলে আমাদের সিটি কর্পোরেশনের স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি টাকা লস হলো। কিন্তু তারপরও জনগণের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘হাটের ইজারাদারদের অবশ্যই আমাদের নির্দেশনা মতো নিয়ম মেনে হাট পরিচালনা করতে হবে, তা না হলে তাদের যে সিকিউরিটি মানি থাকবে সেটি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব নিশ্চিত, পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও সচেতনতামূলক মাইকিং থাকবে। এসব হাট আমাদের কাউন্সিলর ও ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখবেন।’
সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এবারো আশা করছি কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার আগেই অপসারণ করতে সক্ষম হবো। এটি নিশ্চিত করার জন্য সব কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, সিটি কর্পোরেশনের সব কর্মকর্তাসহ আমি নিজেও মাঠে থাকবো।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে মেয়র বলেন, কেবল সচেতনতাই এ শহর ও দেশকে মহামারি থেকে বাঁচাতে পারে। তাই আসুন সাবধান হই এবং সরকার ঘোষিত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
সভায় অংশ নেন- ডিএনসিসির কাউন্সিলররা, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, ডিনসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলীসহ সব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।