টানা ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বৃষ্টি পরে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেতের ব্যাপক পরিচর্যা করা হচ্ছে। একটানা বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে পাকা ধান মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে থাকায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা উৎপাদন না হওয়ার আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ।
খামার সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে।এর মধ্যে ব্রি ধান ৩০ জাতের ৩৪ একর,ব্রি ধান৭৩ জাতের ৪ একর,ব্রিধান ৭৮ জাতের ৪ একর,ও বি আর ২৩ জাতের১৮একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, তা অক্টোবরের শুরুতে থেমে থেমে বা একটানা হালকা ও ভারি বৃষ্টি ৮ তারিখ পর্যন্ত গিযে থামে।একটানা বৃষ্টি, বৈরি আবহাওযায় ও ঝড়ের তাণ্ডবে ধানের কুশি পর্যায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ধানের পরিচর্যায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার পরে তা বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়।এতে ধানের কোন উপকার হয়নি, আবারও কিট নাশক ছিটাতে হয়েছে।এত খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে।আর মাটিতে নুয়ে পড়া ধান পানিতে ডুবে থাকায় ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। উপকূলে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বোয়ালিয়ার এ খামারটিকে লবন পানিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।
এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, একটানা ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে চলতি মৌসুমে ৭ একর আমন ক্ষেতের ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে ব্রি-ধান ৭৮ জাতের তিন একর জমির ধান ফুল পর্যায় থাকায় ফুল ঝরে পড়ে পরাগায়ন বিঘ্নিত হয়ে ধানের শীষে কালো স্পট পড়েছে। ব্রি ধান ৭৩ জাতের এক একর জমির পরিপক্ক ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। বি আর ২৩ জাতের চার একর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে।ধানের গুনগত মান নষ্ট হব্ এতে আশানারুপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে দ্রুত পানি নিষ্কাসন করা,নিয়মিতভাবে ছত্রাকনাশক, কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।কৃস্টির পানিতে সার ধুয়ে য়াওয়ায় গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমানের অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করে ক্ষতিগ্রস্থ বীজ ফসলের পরিচর্যা করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy