1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
ভালুকা উপজেলা সরকারি বরাদ্দের  টাকা-অনিয়মের অভিযোগ 
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
উলিপুরে “তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালুখালী উপজেলা ছাত্রদলের শাওরাইল ইউনিয়নের কর্মী সম্মেলন  অনুষ্ঠিত                  খেলার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ রাজশাহী পুঠিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা পুড়ছে কাঠ লোহাগড়া কৃষি অফিসে বিভিন্ন তথ্য পেতে সাংবাদিকদের ভোগান্তি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় মা হারা হাতি শাবকটি রইছে নিবিড় পরিচর্যায়। সারদা পুলিশ একাডেমিতে কনস্টেবলদের স্থগিত হওয়া সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় গরু ব্যবসায়ী অপহরণ: শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি ডামুড্যায় জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিক সহ আহত ৩ মিরপুরে মুসলিম বাজার সমবায় সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত

ভালুকা উপজেলা সরকারি বরাদ্দের  টাকা-অনিয়মের অভিযোগ 

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭.০৩ পিএম
  • ২০৭ বার পঠিত
 ইসমাইল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারি হাসপাতালের বরাদ্দের দেড় কোটি টাকা অনিয়ম সহ নানা অভিযোগ অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সোহেলী শারমিনের বিরুদ্ধে, তার পরেও  তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন। তার খুঁটির জোড় নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।এদিকে স্থানীয় প্রশাসন তার নানা অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ওজেলা সিভিল সার্জনের নিকট থেকে কোন ধরণের সাড়া পাওয়া যায় না। চলতি বছরের ১২ মার্চ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  হিসেবে যোগ দান করেন ডা: সোহেলী শারমিন । যোগদান করার পর পরই উপজেলা সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে  অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠে ওনার বিরুদ্ধে। তার অসদাচরণের কারণে কর্মরতরা অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করাসহ লিখিত অভিযোগ করেন হাসপাতালের স্টাফ সহ কর্মকতা কর্মচারীরা। উক্ত ঘটনার উপর ভিত্তি বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ  এবং  উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটি তার বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের দেড় কোটি টাকা অনিয়মের  অভিযোগ তুলে। এই অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিগত ২৫ জুলাই  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু দু’মাস পেরিয়ে গেলেও আজো তদন্ত কমিটি তার কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার হিসাব নিতে পারেনি।
এছাড়া আর্থিক অনিয়মের পাশা পাশি হাসপাতালের প্রসূতি ও অন্যান্য রোগীদের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রেখে প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করে তিনি প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন তিনি। তিনি নিজের পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ করে নিম্ন মানের খাবার সরবরাহ করে কমিশন নিচ্ছেন, হাসপাতালের বাবুর্চিকে নিজের বাসায় ব্যবহার করেন ডা. সোহেলী শারমিন। কর্মচারীদেরকে নিজের ব্যক্তিগত কাজে লাগানো,ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ জনের কোয়ার্টারের রুম একাই ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ, বেতন আটকে রাখা, বদলি করা, কাজ বন্টনে স্বজনপ্রীতি, টিএ বিল প্রদানের ক্ষেত্রেও নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের ফলে হাসপাতালের স্টাফদের মাঝে একধরণের চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে। এভাবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে স্টাফদের রেষারেষির কারণে হাসপাতালে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
এ নিয়ে গত কয়েক মাস পূর্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই একত্রে ডা. সোহেলী শারমিনের অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তার প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন করেছিলেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর ভালুকার সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য  বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল। এর জেরে স্থানীয় কয়েকজন স্টাফ কে বদলি করা হয় হালুয়াঘাট, গৌরিপুরে। এত অভিযোগের পরেও এখনো বহাল তবিয়তেই আছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তার খুঁটির জোড় নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে অনুসন্ধান বেড়িয়ে এসেছে আরও অজানা অনেক তথ্য। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, এসএ টিভির সাংবাদিক আওলাদ হোসেন রুবেল ও সাথে ভালুকার স্থানীয় এক সহযোগী হাসপাতালে প্রবেশ করা মাত্রই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন ক্যামেরা বন্ধ ছিল, তবুও তিনি ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ডা. সোহেলী শারমিন স্থানীয় ঐ ব্যক্তির সাথে হাতাহাতি শুরু করেন। হাসপাতালে এমন ঘটনা দেখে সেবা নিতে আসা অনেকে নিরাশ হয়ছিলেন । ভালুকার স্থানীয় সাংবাদিক মহল এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।এ বিষয়ে ডা. সোহেলী শারমিন বলেন,আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পর থেকেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি কোন দুর্নীতি করিনি। আমার বিরুদ্ধে যেই মানববন্ধন করা হয়েছে তারও কোনো ভিত্তি নেই। সাংবাদিকদের কেন লাঞ্ছিত করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রথমে চিনতে পারিনি। হাসপাতালের একজন আমাকে বলছে কে যেন ক্যামেরা নিয়ে আসছে। আপনার কক্ষে সাংবাদিক ডুকেনি, আপনার অনুমতি না নিয়ে ক্যামেরা চালু করা হয়নি তবুও ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ক্যামেরার সামনে আসিনা।  পরে আমি সিভিল সার্জন স্যারের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি তারা গণমাধ্যম কর্মী ছিলেন। পরে ক্যামেরার সামনে  সাক্ষাৎকারে বলেছি যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতির সাথে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জড়িত থাকলে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন- কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।তবে ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা.এবিএম মসিউল আলম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজী হয়নি। ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সোহেলী শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ভালুকার সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব  কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি মহোদয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews