প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৮, ২০২৫, ১২:০৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২১, ১১:৪৩ এ.এম
ভাল্লুকের কামড়ে আহত দুইজন মুরং উপজাতি কে হেলিকপ্টারে নিয়ে এলো সেনাবাহিনী

আকাশ মার্মা মংসিং বান্দরবানঃ
বান্দরবানের চিম্বুকপাড়া এলাকায় পাহাড়ী জঙ্গলের বন্য ভাল্লুকের আক্রমণে গুরুতর আহত হওয়া শিশু মঙ্গোলীও মুরং (৬) ও ইয়াং ওয়াই মুরং (৪৮) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ শুক্রবার দুপুরে দুর্গম বান্দরবান সদর উপজেলার চিম্বুকপাড়া গ্রাম থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ পদাতিক ডিভিশন এর উদ্যোগে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সহায়তায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে তাকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনা হয়।
আহত মঙ্গোলীও মুরং (৬) র বাবার কাছ থেকে জানা যায়, শিশুটি চিম্বুক পাড়া জঙ্গলের পাশে খেলাধুলা করছিল। হঠাৎ একটি হিংস্র ভাল্লুক আক্রমন করে শিশুটিকে। শিশুটিকে ভাল্লুকের আক্রমন থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে শিশুটির দাদা ইয়ং ওয়াই মুরং (৪৮)।
ভাল্লুকটি দুজনকেই মারাত্মকভাবে আহত করে। পরবর্তীতে আহত দুজনকে বান্দরবান রিজিয়নের আওতায় নিকটস্থ সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন, চট্টগ্রাম সেনানিবাস মহোদয় তৎক্ষণাৎ আহত দুজনকে যেকোনো ভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশ পেয়েই দুপুর আড়াইটার দিকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মঙ্গোলীও মুরং (৬) র বাবা রিং রাং রাও মুরং (৩২) বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মানবিক কর্মকাণ্ডে পাহাড়ের দুর্গম জনপদের মানুষগুলো নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে। তারা যেই গ্রামে বসবাস করেন, সেখান থেকে সড়কে যেতে হলে টানা ৫ ঘন্টা পায়ে হেঁটে যেতে হয়। নেই কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঝিরি-ঝরণা, খাল ও গিরিপথ পারি দিয়ে যেতে হয় তাদের। জীবিকার তাগিদে ওই পাহাড়ী জনপদে বসবাস করছেন তারা।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বেও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও বিজিবির যৌথ প্রচেষ্টায় গত ৩১ এপ্রিল ২০২০ সোনাপতি চাকমা এবং ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ জতনী তঞ্চংগ্যা নামে দুইজন মৃত্যুপথযাত্রী উপজাতি প্রসূতি নারীকে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। পরে তারা ফুটফুটে বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। বেঁচে যায় ২ নবজাতক ও মায়ের জীবন। আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy