কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের কৃষকদের দাবী উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো সেবা পাচ্ছেন তাঁরা।জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়াডের কৃষকদের আমন ধানের গাছ ছত্রাক ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,ধানের পাতা সাদা হয়ে যাচ্ছে ২-৩ বার করে পোকা দমনের কীটনাশক ব্যবহার করলেও পোকা দমন হচ্ছে না বিলিন হয়ে যাচ্ছে আমন ধানের রোয়া গাছ।কৃষকরা বলেন কীটনাশকের দোকান মালিকের পারামর্শে ওষুধ দিচ্ছি আবাদি জমিতে।কিন্তু কেনো ভাবেই পোকা দমন হচ্ছে না। জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়াডের ইউসুফ আলি,৭ নং ওয়াডের রেনু, ৮ নং ওয়াডের ফজলুল হক,৯ নং ওয়াডের আ: বাতেন, ৯ নং ওয়াডের আমিনুর ইসলাম, ৯ নং ওয়াডের আ: সামাদ,৯ নং ওয়াডের কাশেম আলী,৯ নং ওয়াডের আ: রশিদসহ আরো অনেক কৃষক বলেন আমাদের ভূরুঙ্গামারী কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ পাইনা,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস) মোছা: নাজমিন আক্তার দায়িত্বে আছে তাকে আমরা ২-৩ বছর থেকে দেখিনা মাঠে,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন কৃষক বলেন নাজমিন আক্তার নামে যে (বিএস) আছে আমাদের ওয়াডে আজ জানলাম এর আগে কোনোদিন শুনি নাই।আর কারো কাছে থেকেও পরামর্শ পাচ্ছি না।প্রতি সেজেনে সেজেনে ধানের আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এতথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষকেরা ৮ অক্টোবর রবিবার বিকেল ৪ টায়।কৃষকরা একজন বিএসকে দ্রুত জমিতে পাঠিয়ে সেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন কৃষকরা।
এবিষয়ে জয়মনিরহাট ইউনিয়নের দায়িত্বরত ভূরুঙ্গামারী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নাজমিন আক্তারকে তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলে ফোন রিসিভ হয়নি।
ভূরুঙ্গামারী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলামের সহধর্মিণী নাজমিন আক্তার উপসহকারী কৃষি ভূরুঙ্গামারী তারা দুজনেই একি অফিসে চাকুরী করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।শহিদুল ইসলাম ফোন করে গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন নিউজ করার দরকার নেই,ওমুক বিএস আপনার সাথে কথা বলবে।কি আছে না আছে বিষয়টা দেখবো।তিনি আরও বলেন আমার ওয়াইফের ছোটো বাচ্চা রয়েছে সে ছুটিতে ছিলো।ছুটি কতদিন থেকে কতদিন পযন্ত সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাগজ দেখে বলবো,পরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে এখন না পরে বলে কাল বিলম্ব করে জানায়নি বিষয়টি।
ভূরুঙ্গামারী কৃষি অফিসার মো: আব্দুল জব্বারের কাছে ৯ অক্টোবর সোমবার আনুমানিক দুপুর ২ টার দিকে তার অফিসে গেলে দরজা থেকে কথা শুনতে পায় গণমাধ্যম কর্মী যে গণমাধ্যম কর্মীরা যেনো অফিসে ঢুকতে না পারে এরকমি মন্তব্য করে যাচ্ছেন উক্ত অফিসের পিয়ন মো: আকবর।পরে কৃষি অফিসার মো: আব্দুল জব্বারের কাছে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিষয়ে
জানতে চাইলে তিনি বলেন হ্যা আমাকে কয়জন কৃষক গতকাল ৮ অক্টোবর ফোন করে অভিযোগ দিয়েছে এ বিষয়ে যে উপসহকারী ফিল্টে যায় না, তাদের ধানের জমিতে পোকা ধরেছে। আর আমি ১ মাস হয় এখানে নতুন এসেছি আজকে অফিসের লোক গেছে সেখানে।তিনি বলেন উপসহকারী নাজমিন আক্তার ছুটিতে ছিলো আমি শুনেছি।আর মাঠে এতদিন না যাওয়ার এর সত্যতা পাওয়া গেলে আমি ব্যস্থা নিবো।আর এমনিতেই উপসহকারী একজন মেয়ে মানুষ তাকেই নিরাপত্তা দিতে হয় দিন কাল ভালো না।আর সে জন্য তার স্বামী মাঝে মধ্যে তার ফিল্টে গিয়ে কাজ করে। তিনি আরও গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন ২- ৩ বছর থেকে কৃষি অফিসের লোক মাঠে যায় না এতদিন আপনারা কি করছেন কেনো নিউজ করেননি আর এখন নিউজ করবেন।