ভূরুঙ্গামারীতে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে গণ-টিকাদান কর্মসূচী
আশিকুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে সরকার ঘোষিত গণ-টিকাদান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় শনিবার (৭ আগস্ট) সফলভাবে গণ-টিকাদান কর্মসূচী সম্পন্ন হয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি এবং ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, উক্ত গণ-টিকাদান কর্মসূচী সফলভাবে সম্পন্ন করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলার ভূরুঙ্গামারী সদর, তিলাই, পাথরডুবি, শিলখুঁড়ি, পাইকেরছড়া ও চর-ভূরুঙ্গামারী; এই ছয়টি ইউনিয়নে, সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত গণ-টিকাদান কার্যক্রমের প্রথম দিন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলার উক্ত সবগুলো কেন্দ্রেই (৬ টি ইউনিয়নের ৬ টি কেন্দ্র) যথাক্রমে বাগভান্ডার উচ্চ বিদ্যালয়, তিলাই ইউনিয়ন পরিষদ, পাথরডুবি ইউনিয়ন পরিষদ, উত্তর ধলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, পাটেশ্বরী বরকতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং চর-ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে সরকার ঘোষিত প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ জনের মধ্যে, প্রতিটিতে প্রায় ৬০০ জন ব্যক্তিকেই টিকা দেওয়া হয়। সমগ্র উপজেলায় গণ-টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় করোনা প্রতিরোধে চীনের তৈরী সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রদান করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
টিকাদান কর্মসূচীকে সফল করতে মাঠপর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে কাজ করে ‘ডোনেট ফর ভূরুঙ্গামারী’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় দেড় শতাধিক ভলান্টিয়ার। এছাড়াও কাজ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীবৃন্দ, এনজিও কর্মী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের কর্মীবৃন্দ।
এর আগে গত ২৯ জুলাই ১৮ বছরের বেশি বয়সীদেরও করোনার টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। শুরুতে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হলেও পরে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় সেটি কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়, যা পরবর্তীতে ২৫ বছর করা হয়েছে। সবাইকে টিকার আওতায় আনতে, ধারাবাহিকভাবে বয়সসীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় গণ-টিকাদান কর্মসূচীর প্রথম দিন (ট্রায়াল) পুরোপুরি সফল হওয়ার বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শনিবারের এই টিকাদান কর্মসূচীকে আমরা সফল করতে পেরেছি। প্রথমে, প্রতি কেন্দ্রে ১৮০০ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা থাকলেও, সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার কারণে,
পাইলট প্রকল্প হিসেবে আমরা প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৬০০ করে ভ্যাকসিন বরাদ্দ পাই এবং প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ৬০০ জন করে ব্যক্তিকে আমরা টিকা প্রদান করি। আগামীতে আরও ব্যাপক পরিসরে এই গণ-টিকাদান কর্মসূচী চলবে। তাই, তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য বিভাগকে সকলের সহযোগিতার এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।