1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
ভূরুঙ্গামারীতে সবজির বাজার উর্ধ্বগামীঃ বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপি নেতাদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ নড়াইলে ডিবির অভিযানে ১০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সাভারে সান্তনা (৩৫) নামের একজন গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার শেখ হাসিনাস সহ পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে প্রসিকিউশনের চিঠি লোহাগড়ায় জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুমন গ্রেফতার সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ডিবি পুলিশের অভিযানে দুই শ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক- দুই আরডিএ’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে,অন্যের জায়গায় ইমারত নির্মাণের অভিযোগ পাটকেলঘাটা  বাজার বণিক সমিতির  উদ্যোগে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সাবেক এমপি হাবিব

ভূরুঙ্গামারীতে সবজির বাজার উর্ধ্বগামীঃ বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫.২১ পিএম
  • ১৭৮ বার পঠিত
mde
আজিজুল হক, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুই সপ্তাহের  টানা বৃষ্টিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি সবজিব দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অব্যাহত বর্ষণে একদিকে রোজগার কমে যাওয়া অন্যদিকে  জিনিসপত্রের দাম আকাশ স্পর্শ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া  মানুষ।
সরে জমিনে ভূরুঙ্গামারী সদরের বেশ কয়েকটি কাচা বাজার পরিদর্শণ করে দেখা যায় সেখানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে  থেকে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁরস ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, শসা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস গড়ে ৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে শাকের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এক কেজি লাল শাক কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা! এছাড়াও এক কেজি সরকি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় !! এদিকে ভারতের পেয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে এক লাফে পেয়াজের দাম দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা।
ভূরুঙ্গামারী হাটের সবজি বিক্রেতা মোজাম্মেল হক জানান, বাজারে মালের তীব্র সংকট চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বাইরের আমদানীর উপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। বাইরে থেকে আসা সবজিগুলোর উচ্চ ক্রয়মূল্য ও পরিবহন খরচের কারণেই সবজির বাজারের এই দশা।
সবজি বিক্রেতা আবদুল কাইয়ুম বলেন, ভূররুঙ্গামারীর কৃষক যা উৎপাদন করে সেটা ভূরুঙ্গামারীর মানুষ পায় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হাওয়ায় এখানকার উৎপাদিত পণ্যের একটা বড় অংশ সরাসরি বাইরে চলে যায়। ফলে এখানে কৃষিজাত পণ্যের সংকট লেগেই থাকে। সংকট সামলাতে আমাদেরকে আবার উচ্চ দামে বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করতে হয় ।  মনসুর আলী নামের আরও একজন সবজি বিক্রেতা জানান, ভূররুঙ্গামারী উপজেলাটি তিন দিক দিয়ে ভারত বেষ্টিত তাই শুধু সবজি নয় যেকোন  পণ্যের সংকট মোকাবেলা করতে তাদেরকে কেবল দক্ষিণ দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টি বাদল বা অন্য যে কোন কারণে যোগাযোগ ব্যাহত হলে পন্যের দাম ডাবল হয়ে যায়।
উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কাচা বাজারগুলোতে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরো চড়া দেখা গেছে।  কারণ হিসেবে স্থানীয় বিক্রেতারা জানান, উপজেলা সদর থেকে  কাড়াকাড়ি করে বেশি দামে মাল কিনতে হয় তাদের। পরিবহন খরচ সহ তাই গ্রামে গঞ্জে সবজির দাম আরো বেশি।
ধামেরহাট কাচাবাজারে সবজি কিনতে আসা শহর আলি নামের এক দিন মজুর বলেন, ‘বৃষ্টিত কাইজ কাম বন্ধ। এর মইধ্যে এক পোয়া কাচা মরিচের দাম যদি ১০০ টাহা হয় তাইলে আমরা কেমনে বাচমো’।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর টানা বর্ষণ ও দু’দফা বন্যায় প্রায় উপজেলার ৩২৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সবজিতে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের সবজি বীজ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আবারও টানা বর্ষণ শুরু হয়ে যাওয়ায় সবজি উৎপাদনে আবারও বাঁধার মুখে পড়লো কৃষক। তবে বৃষ্টি থামা মাত্র কৃষকদের নতুন করে সহায়তা দেয়া হবে আবারও।  শীতের শুরুতে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews