আশিকুর রহমান আশিক ,ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি;
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভূরুঙ্গামারী-বাগভান্ডার সড়কের পূর্ব বাগভান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারি ৮টি গ্রামের মানুষ। এর আগে সেতুটির মাঝ খানে ভেঙ্গে বড় এক গর্তের সৃষ্টি হয়। সাবধান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ লিখে লাল ফিতা টাঙ্গিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হবার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারে এগিয়ে আসেনি কেউ। এত দিন এলাকাবাসি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করলেও সব শেষে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ৮টি গ্রামের মানুষ। যানবাহন ঢুকতে না পারায় কর্মজীবী মানুষ এবং এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে,উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এই সড়কটি ব্যবহার করেন বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্প, ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার, খামার পত্র নবীশ, মানিককাজির কিছু অংশ, ভোটহাট গ্রাম, পাথরডুবী জিন্নতি বিজিবি ক্যাম্প ও পাথরডুবী ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে।
সেতুটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাগভান্ডার বাজারের ব্যবসায়ী শামিম, ওবায়দুল্লাহ ও মুকুল জানান, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কনজুমার প্রোডাক্টের মালামালের কোন কোম্পানির গাড়ী বাজারে ঢুকতে পারছেনা। তাই উপজেলা সদর থেকে ব্যবসায়িক মালামাল কিনতে হচ্ছে। তাতে দ্বিগুন পরিবহন খরচ হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা বাড়তি দামে পণ্য কিনতে চাচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু দ্রুত নির্মাণের জন্য জোড় দাবি জানিয়েছেন।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান এরশাদ জানান, যদিও সেতুটি তার ওয়ার্ডে না। তবুও জন দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে সেতুটির মাঝ বরাবর মাটি ফেলে দুইপাড়ের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে পায়ে হেটে ও হাল্কা যান চলাচলের ব্যবস্থা করছেন।
তিনি আরো জানান, কারো সহযোগিতায় নয় স্বেচ্ছায় নিজস্ব অর্থায়নেই তিনি মাটি ভরাট করে হালকা যানবাহন ও জনচলাচলের ব্যবস্থা করছেন।
এই ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, আমি গত ডিসেম্বর মাসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেই সেতুটি পুণঃ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি।
উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে সেতুটি নির্মাণের ব্যয় বিবরণী তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রেরিত একটি প্রতিনিধি দল সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই দরপত্র আহবান করে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করতে পারবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..