মনোয়ার ইমাম কলকাতা প্রতিনিধিঃ
আজ রাতে পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল যুব তৃনমূল দলের সভাপতি জনাব সুজাউদ্দিন গাজী ছয় দিনের জীবন যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে হেরে গেলেন। ছয়দিন আগে উত্তর কুসুম অঞ্চল এর তার বাড়ির সামনে তাকে গুলি করে উত্তর কুসুম অঞ্চল এর কিছু দুস্কৃতিকারী। এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মগরাহাট পশ্চিমের বানেশ্বর পুর গ্রামিন হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়াতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার পি জি হাসপাতালে । তাকে দেখতে ছুটে আসেন পশ্চিম বাংলার তৃনমূল দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব শওকত মোল্লা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বহু তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। প্রতিদিন তার খবর নিতেন মগরাহাট পশ্চিমের যুব তৃনমূল দলের সভাপতি জনাব ইমরান মোল্লা ও তৃনমূল দলের অন্যতম নেতা ইমতিয়াজুর কাজী এবং মগরাহাট পশ্চিমের জেলা পরিষদ সদস্য শ্রী মতি সঙ্গীতা হালদার সহ বিভিন্ন অঞ্চলের নেতা ও কর্মীরা। তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দুই দিন পর মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক এর ঘনিষ্ঠ সাত কুখ্যাত দুস্কৃতিকারী কে গ্রেফতার করে ডায়মন্ডহারবারের জেলা পুলিশ ও উস্হি থানার ওসি। তাদের বর্তমানে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে ডায়মন্ডহারবারের জেলা আদালত থেকে সাতদিনের পুলিশের রিমান্ডে নিয়েছে। এর মধ্যে সাত জনের নাম পাওয়া যায় তাদের মধ্যে লাল চাদ লস্কর ও তার পুত্র সাবিরুল লস্কর ও আসাবুল লস্কর ও মুস্তাক লস্কর এবং আনোয়ার হোসেন হালদার ও হবিবুর রহমান মোল্লা। তৃনমূল দলের সূত্র থেকে জানা যায় যে এরা প্রত্যকেই পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কিছুদিন আগে মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর কে প্রধান থেকে ফেলে দাবার জন্য তাকে মুটো ফোনে চাপ সৃষ্টি করে। এবং তাকে মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের শ্রমিক নেতা জনাব ফিরোজ এর সাথে নিয়ে হবিবুর রহমান মোল্লা নামে দুস্কৃতিকারী কে নিয়ে প্রধান কে ফেলতে বলেন। কিন্তু তৃনমূল দলের উত্তর কুসুম অঞ্চল যুব সভাপতি জনাব সুজাউদ্দিন গাজী তা না করাতে তাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার পরিকল্পনা করেন। এবং তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে গুলি করে। আজ গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয় দিনের লড়াই শেষে তার মৃত্যু হয়েছে। আর অধরা থেকে গেছে সুপারি কিলার । এর পর মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কতজন কে প্রান দিতে হবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।।