ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র প্রভাবে দুদিন ধরে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার ফলে শীত যেন বেকে বসেছে। হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পড়েছে চরম দুর্ভোগে। আর এ ঠান্ড শীত থেকে একটু বাঁচার জন্য পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট হয়ে ওঠে এসব দোকান। বিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।
সরেজমিনে মতলব উত্তরের ছেংগারচর বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ০৫-৭টি অস্থায়ী দোকানে শীতের গরম পোশাক দিয়ে পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন রকমের বৈচত্র্যপূর্ণ গরম পোশাক তুলেছেন এখানকার বিক্রেতারা। কিছুটা কম দামে এখানে পছন্দমতো পোশাক কিনছেন শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধাসহ সব বয়সী ক্রেতারা। গরম পোশাকের চাহিদা মেটাতে বিক্রেতাদের এমন প্রস্তুতি।
ছেংগারচর নবাজারের চৌরাস্তা মোড়ে শীতের গরম কাপড় নিয়ে পসরা সাজানো শাহজাহান নামের এক বিক্রেতা বলেন, শীতকালের ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত মৌসুমে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গরম পোশাক দিয়ে দোকান সাজানো হয়েছে।
ত্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ০৫-৭টি দোকানে ভ্রাম্যমাণভাবে গরম পোশাক তুলেছেন এখানকার বিক্রেতারা। শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধাসহ সব রকমের ক্রেতার গরম পোশাকের চাহিদা কম দামে মেটাতে বিক্রেতাদের এমন প্রস্তুতি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকায় এখানে হরেক রকম গরম জামাকাপড় বিক্রি হয়। শুধু পোশাকই নয়, এখানে ২-৩ হাজার টাকার মধ্যে ভালো কম্বল ও চাদরও মিলবে।
বাদল ঢালী,আবুল কালাম ও সোহেল রানা নামের তিন ক্রেতা তারা বলেন, কম দামে চাহিদা অনুযায়ী গরম পোশাক কেনার জন্য মতলবের এসব ভ্রাম্যমাণ বাজার বেশ উপযোগী। আধা কিলোমিটারের মধ্যে ২০-২৫টি দোকান রয়েছে। তাই এক স্থানে পরিবারের সবার গরমের পোশাক কেনার সুবিধা থাকায় এই বাজার এত জনপ্রিয়।
এ বিষয়ে ছেংগারচর বাজারের ব্যবসায়ীরা দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন ‘প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার দরদামে বাজারটি বেশ সরগরম থাকে। বাজারের সাপ্তাহিক হাটের দিন (সরকাররি ছুটির দিন) শুক্র ও শনিবার ভিড় একটু বেশি থাকে। এই বাজারটি প্রায় ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিব অসহায় মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।’