আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক (ভাষা, গবেষণা ও পরিকল্পনা) মো. শাফীউল মুজ নবীন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে মাতৃভাষার সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও বিকাশে অবদানের জন্য ২০২১ সালে জাতীয় পর্যায়ে একজন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুইজন এ পুরষ্কার পাচ্ছেন। এরা হলেন, জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাগড়াছড়ি জাবারং কল্যাণ সমিতির মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা ও উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ।
প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকের জন্য মনোনীত মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ ও এসব ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নে কাজ করেছেন।
দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার চিত্র, মাতৃভাষায় শিক্ষা পরিস্থিতি, মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক। ৮৭ বছর বয়সী এই ভাষাবিজ্ঞানী, লেখক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করেছেন তিনি।
বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী সেইসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তার লেখায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি বই তার হাত দিয়ে এসেছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ এবং লাতিন আমেরিকার আদি ভাষাগুলো নিয়ে কাজ করা বলিভিয়ার অনলাইন উদ্যোগ অ্যাক্টিভিজমো লেংকুয়াস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের এ সম্মাননা পাচ্ছে।
শাফীউল মুজ নবীন বলেন, “সরকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ বছরই প্রথম এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। দুই বছর পর পর জাতীয় পর্যায়ে দুটি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুটি পদক দেওয়া হবে।”
মুজিববর্ষে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
এর অংশ হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক দেবেন বলে জানান মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক।