আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের মহিষমারা মধ্যপাড়া হতে ঘুলিয়া প্রাইমারী স্কুল হয়ে গারোবাজার যাতায়াতের রাস্তাটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে গ্রামবাসীদের চলাচলের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে।
এলাকাবাসী জানান,মহিষমারা ইউনিয়নের এ রাস্তাটি শুধু গারোবাজার যাতায়াতের রাস্তা নয়। আমাদের এরাস্তাটি ধলপুর হয়ে চলে গেছে মধুপুর।
প্রায় দেড় কিলোমিটার এই সড়কের দুই পাশে বসবাস করেন ৩/৪ গ্রামের বাসিন্দা। রয়েছে ৪টি প্রাইমারী স্কুল, ১টি মাদরাসা সহ কয়েকটি মসজিদ। নিত্যদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি অন্তিম যাত্রাও হয় এই রাস্তা ব্যবহার করেই।
গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার বেহালদশা থাকলেও এ রাস্তাটির কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নি। ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান চেয়ারম্যান কাজ না করলে আমি কিভাবে করে দিব। ২/৩ বছর আগে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কাজ আসছিল সে আমাকে সাথে না নিয়ে একাই করেছে।
সে কোথায় কি কাজ করেছে তা আমার বোধগম্য নয়।এতটাকার কাজ কোথায় করছে চেয়ারম্যান নিজেই জানে। আর কাজ করলে রাস্তা এ অবস্হা হত না।
স্থানীয় বাসিন্দা কদ্দুছ মাষ্টার, জাহীদুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, আজিজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম , ছাত্র সুজন আহমেদ জানান তাদের দূরবস্থার কথা। তারা বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অন্তত দেড় হাজার লোক যাতায়াত করেন।
একটু বৃষ্টি হলেই চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়া দূরহ হয়ে পড়ে।
ইউপি মেম্বার মোসলেম উদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর সাথে আমিও সম্মিলিতভাবে বহুবার সড়কটির উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেছি আজও কোন লাভ হয়নি।
মাঝে মধ্যে চেয়ারম্যান ইটের খোয়া আদলা ফালায় তাতে কোন কাজ হয় না।
এলাকার বয়োজেষ্ঠ ইয়াকুব আলী জানান শত বছরেও আমাদের এ রাস্তাটির কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।
আর কতদিন অপেক্ষার পর আমাদের সড়ক পাকা হবে জীবীত অবস্হায় দেখে যেতে পারবকিনা একমাত্র আল্লায় জানে।
শিক্ষক আঃ কদ্দুছ বলেন, গ্রামবাসী মিলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগনের নিকট বহুবার ঘুরাঘুরি করেছি কিন্তু সুফল আসেনি।
এ ব্যাপারে মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বলেন, রাস্তাটিতে মাটি এবং ইটের খোয়া ও আদলা দেয়া হয়েছিল ২/৩ বছর আগে।বর্তমানে ওই রাস্তাটি সহ ইউনিয়নের অন্যান্য রাস্তা পাঁকা করনের অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডার হলেই রাস্তাগুলোর কাজ শুরু করা হবে।