ইসমাইল হোসেন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
সরকার সহজ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাউন্নয়নে করতে পদক্ষেপগ্রহণকরলেওঅটো,সিএনজি মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডের কারণে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ক্রমেই গতিহীন হয়ে পড়ছে। যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মহাসড়কের জায়গা দখল করে স্ট্যান্ড ব্যবহারের ফলে যানজট লেগেই থাকে। সঙ্গে মহাসড়কটিতে পৌর কাঁচা বাজারতো আছেই।
পৌরসভার নিজস্ব কোন স্ট্যান্ড না থাকায় অটো, সি এন জি, মাহেন্দ্র গুলো মহাসড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড বানিয়ে রেখেছে। আর পৌরসভার টোল আদায় ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের চাঁদা আদায়ের নামে গাড়ী থামিয়ে ওই যানজটকে আরো তীব্র করে তোলা হয়।
ফলে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বিজয়-৭১ চত্বর হয়ে শিমুলতলা মোড় পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের কারণে পার হতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০মিনিট।মহাসড়কের দুপাশ অবৈধ দখলে নিয়ে বাজার তৈরি করে ব্যবসা করায় এখন তা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে।
মহাসড়কের দু’পাশজুড়ে অবৈধ স্থাপনা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চরম আঁকার ধারণ করেছে। মহাসড়ক অবৈধ ভাবে দখলে নিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিনই উঠছে নতুন নতুন অবৈধ স্থাপনা।পাশাপাশি মহাসড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড হওয়ায় পথচারিসহ শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সর্বদাই যানজট লেগে থাকায় এখানে ইভটিজিংসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির স্বীকার হয় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।
এর আগে একাধিকবার মহাসড়কের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হলেও সরকারের আইন ভঙ্গ করে বারবার তোলা হচ্ছে দোকান। এলাকার সাধারণ মানুষ এই তীব্র যানজটের কবল থেকে বাঁচতে চায়। পৌর বাজারের একাধিক ব্যাবসায়ী জানান, বাজারের জায়গা না থাকায় মহাসড়কের দু’পাশে বাজার বসছে। অটো, সিএনজির কারণে হাজারও যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে নিয়মিত। আমাদের ভোগান্তিও চরমে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে রোগী নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আসেন সিএনজি চালক মিন্টু মিয়া (৩০) জানান, রোগী রেখে ফেরার পথে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের মোড়ে ৫/৬জন আমাকে আটক করে সমিতি ও পৌরসভার নাম করে ৯০টাকা নিয়ে যায় দিতে অস্বীকার করলে গাড়ীর চাবি নিয়ে নেয়। পৌর সদরের বাইরের অটো, সিএনজি গুলোর একাধিক চালক চাঁদার বিষয়ে অভিযোগ করে জানান, পৌরসভায় প্রবেশের জন্য বাৎসরিক পৌর লাইসেন্স নিতে হয়। দৈনিক পৌর ইজারাও দিতে হয়, দিতে হয় বিভিন্ন বিটের চাঁদা, নামে বেনামে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের চাঁদাও দিচ্ছেন তারা।মহাসড়কে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পৌরসভার স্ট্যান্ড ইজারা দেয়া হয়েছে, রাস্তায় টাকা তুলার জন্য নয়। তবে পৌরসভার ইজারা দারের রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করে। অন্যান্যরা বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা আদায় করছে, মোড়ে পুলিশ ডিউটির সময়ও চাঁদা তুলতে দেখা যায়।
মহাসড়কের উপর কাঁচা বাজার ও অটো সিএনজি স্ট্যান্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হবে। অটো সিএনজি স্ট্যান্ড মৎস্য খামারের সামনে সাইনবোড দিয়ে জায়গা দেয়াহয়েছে কিন্তু চালকরাসেখানে যাচ্ছে না।
মহাসড়কে চাঁদা তুলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান বলেনবিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনে নামে চাঁদা তুলছে এতে আমাদের কি করার আছে ? এই অটো স্ট্যান্ড স্থানান্তরের বিষয়ে প্রশাসন, পৌরসভা ও শ্রমিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে বলে তথ্যে জানান।প্রতিকার আবশ্যক