ইসমাইল হোসেন (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ঈশ্বরগঞ্জঅভ্যন্তরীণ প্রায় রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে তথ্যে জানান । টানা দু’বার সরকার দলীয় এমপি না থাকায় উন্নয়ন বঞ্ছিত এলাকাটির প্রায় সকল রাস্তা চালচলের অনুপযোগী। রাস্তার বেহাল দশার জন্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জানাযায়, উপজেলায় পাঁকা রাস্তা ২২৫ কিলোমিটার, এরমধ্যে প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলে অনুপযোগী। সামনে বর্ষার মৌসুমে বাকী রাস্তা গুলোও নষ্ট হবার আশঙ্কা করছে সাধারন মানুষ। কাঁচা রাস্তা ৩২১ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় সকল রাস্তাই চালাচল অনুপযোগী হয়েছে আরো আগেই।কাগজে কলমে রাস্তা গুলো মেরামতে জন্যে সরকারী ভারে প্রতিবছর টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি ও কর্মসৃজন কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাটামো রক্ষনাবেক্ষনের জন্য প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ পাওয়া যায়। বরাদ্ধকৃত টাকা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ অবকাটামো রক্ষনাবেক্ষনে ব্যয় দেখানো হয়। এছাড়াও এলজিইডির মাধ্যমে প্রতিবছরেই নতুন রাস্তা পাঁকা করণ ও মেরামতের জন্য আরো প্রায় ৫-৭ কোটি টাকার কাজ হয়। কিন্তু মাঠের প্রকৃত অবস্থা ভিন্ন। যে কারণে এলাকার প্রায় প্রতিটি হাট-বাজারের ভেতরের রাস্তা গুলো সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে দোকানী ও হাটে আসা জনসাধারণের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। আগামী বর্ষার মৌসুমে আঠারবাড়ী ইউপির সু-প্রাচিন রায়ের বাজার, খালবলা বাজার, মাইজবাগ ইউপির মাইজবাগ লক্ষ্মীগঞ্জ, দত্তগ্রাম, কাউরান বাজার, মগটুলা ইউপির মধুপুর, ধীতপুর ও নওপাড়া বাজার, উচাখিলা ইউপির উচাখিলা মরিচার চমুকিয়ার বাজার, তারুন্দিয়া ইউপির পলাশকান্দা, কোনাপাড়া, সাখায়া, বড়হিতের নশতি বাজার, সোহাগীর সোহাগী দেওয়ানগঞ্জ, সরিষার নাপিতের বাজার খুশিপাড়া বাজার, জাটিয়ার সুটিয়া বাজার, রাজিবপুরের রাজিবপুর লাটিয়ামারী, চরপাড়া, বান্ডারী বাজার, চালাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। ওই বাজার গুলোতে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত পন্যসামগ্রী মাছ, ক্রয়-বিক্রয় করেন। এখান থেকে শাক-সবজি চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বড় শহর গুলোতে। খালবলা বাজারের একাদিক ব্যবসায়ী জানান, বাজারটি প্রাচিন ব্যবসা কেন্দ্র ছিলো। এই বাজারে রয়েছে বিভিন্ন জুট মিলের পাট ক্রয়কেন্দ্র ও বড় বড় গুদাম ঘর। এছাড়াও সনাতন ধর্মের প্রাচিন শিববাড়ি মন্দির ওই বাজারে অবস্থিত। এখানে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এসব স্থানে যেতে কাদা মাখা রাস্তাটি পাড়ি দিতে হয়। মাইজবাগ পাচপাড়া হয়ে দত্তগ্রাম রাস্তাটির দুপাশের বেশ কিছুলোক অভিযোগ করে বলেন, গত ছয়-সাত বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তাঁরা। লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন জানান, উপজেলা সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় আসে এই বাজার থেকে অতচ বাজারের উচাখিলা রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কার বা মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেননি।রাস্তার বেহাল দশার বিষয়টি তুলে ধরে মন্তব্য জানতে চাইলে আঠারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জুবের আলম কবীর বলেন, রায়ের বাজারের অনেকগুলো রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। এরপরও কাঁচ বাজার, দুধ মহাল ও স্টেশন রোডের অবস্থা অত্যান্ত খারাপ। খালবলা বাজারে এখন লোকজন চালচল করতে পারছে না। মাইজবাগ ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বাবুল বলেন, উপজেলা সবচেয়ে বড় এরিয়া ও লোকজন বেশি এই ইউনিয়নে। বড় বাজার হলো লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার আর বৃষ্টি হলে এ বাজারেই হাটুপানি হয় মেইন রাস্তা গুলোতে। গ্রামাঞ্চলেন মাটির রাস্তা গুলোর অবস্থা আরো খারাপ বর্ষার মৌসুমে ঘর হতে বের হওয়ার মতো কোন উপায় থাকবে না বলে জন সাধারণ সংষ্কিত।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy