শিশু ফাতেমার খোঁজ নেন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
তিন বছর আগে কিডনি বিকল হয়ে মারা গেছেন বাবা। সম্প্রতি মা-বোন মারা যান বিষ পানে। একমাত্র বেঁচে রইল পাঁচ বছর বয়সী শিশু ফাতেমা। সব হারানো শিশুটির দায়িত্ব নিচ্ছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার ফাতেমার বাড়ী খোঁজ নিতে যান ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মো.আক্তারুজ্জামান। ফাতেমার স্বজনদেরক বার্তা নিশ্চিত করে বলে শিশু ফাতেমার দায় দায়িত্ব জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহ নিয়েছেন। উক্ত ঘটনা জেনে শিশু ফাতেমা ও তার নানি আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারকার্যালয়ে।
পরে তিনি শিশু ফাতেমা ও নানির হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নোট করে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছে।জানা গেছে, তিন বছর আগে কিডনি বিকল মৃত্যুবরণ করেন ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ধলা গ্রামের সোবহান মিয়া (৩৮)।
এর পর তাঁর স্ত্রী আমেনা খাতুন মানুষের বাড়ি ঝিঁয়ের কাজ করে দুই মেয়ে মরিয়ম ও ফাতেমাকে নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করে আসছিলেন। এক সময় সংসারের অভাব-অনটন আমিনাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্তকরে তুল। তার জেরেগত শুক্রবার রাতে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে চায়ের মধ্যে বিষ মিশিয়ে পান করেন বড় মেয়ে সহ আমেনা মারা যান জানান।তবে দুর্গন্ধের কারণেবিষ পান করেনি ফাতেমা। তার মাও বোন মরিয়মকে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফটকরতে দেখে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেন। বিষয় প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত্যু হয়েছে বলে সুত্রেজানান।ফাতেমার দাদা শারাফত মিয়া বলে, অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে আমার ছেলে ছেলের বউ ও বড় নাতিকে হারিয়ে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।প্রশাসক ফাতেমার দায়িত্ব নেওয়ায় মনে শান্তি পেয়েছেন তিনি।
মো,আক্তারুজ্জামান বলেন প্রাথমিক ভাবে কিছু খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। শিশুটির ভরণপোষণের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহ মোস্তাফিজার রহমান