প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৫, ১:২৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২৪, ২০২৩, ৫:২৩ পি.এম
ময়মনসিংহ-ঢাকা মহা সড়ক অবরোধ ত্রিশাল সংস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ
![](https://i0.wp.com/surjodoy.com/wp-content/uploads/2023/03/received_1692653341154336-1.jpeg?fit=574%2C314&ssl=1?v=1679657011)
ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
ত্রিশাল রাস্তা সংস্কার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্কুল, কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসি।গতকাল
দুপুর সাড়ে ১২টায়এ কর্মসূচি পালন করেন।উক্ত বিক্ষোভ- অবরোধ চলাকালে যানবাহন চলাচল দেড়ঘন্টা বন্ধ থাকেন।এতে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।আন্দোলনরতরা জানান ত্রিশালউপজেলার বৈলরের মোড় হতে ধানীখোলা ইউনিয়নের শেষ সিমান্ত পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর ধরেই খানাখন্দকে ভরা।ভারি যানবাহন চলাচল এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করার কারণে চলাচলে রাস্তাটি ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে।সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাদিয়ে স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে সমস্যা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যরাখেন বৈলর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মশিউর রহমান শাহানশাহ,ধানীখোলা ইউনিয়নআওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন,আ:লীগ নেতা আঃ মতিন, ব্যবসায়ী আলমগীর কবীর বাদশা দেওয়ান, তানভীর আহমেদ প্রমুখ।পরে ত্রিশাল থানার ও সি মাইন উদ্দিনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তোলে নেন। বিক্ষোভকারিরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাস্তা সংস্কার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানাযায়,সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথাছিল ১৫ মাসের মধ্যে।প্রায় ৫৬ মাস পরেও শেষ হয়নি ত্রিশাল উপজেলায় সড়ক সংস্কার কাজ।কাজ ধীর গতির কারণে এই ভোগান্তিতে পড়েছেন ত্রিশাল ফুলবাড়ীয়া উপজেলার হাজার মানুষ।কর্তৃপক্ষ বলছেন এ মেয়াদে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেবিল না দেওয়া এবং পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বৈলর হতে ফুলবাড়িয়া সীমানাপর্যন্ত৫ কি:মিটার দৈর্ঘ্য -২৪ ফুট প্রস্থের সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হয় ২০১৮ সাল জুন মাস। কাজ ২০১৯ সালের আগস্টের ১৩ তারিখশেষ হওয়ার কথা।কাজটি ১২ কোটি ৩০লাখ টাকা ব্যয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঢালী কনস্ট্রাকশন লিমিটেড পেয়েছেন। এই কাজ শেষ হয়নি চার বছরে ও। অপর দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দাবি,বিল না পাওয়ার কারণে কাজ ধীর গতি।নির্ধারিত সময় কাজ শেষ না হওয়াতেই এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।সড়কের আশপাশে বসবাসরত মানুষ সহ সড়ক ব্যবহারকারীরা। বৈলর এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী নামের ব্যক্তি বলেন ৮ / ১০ গ্রামের মানুষ এই সড়ক হয়ে ময়মনসিংহ এবং ত্রিশাল বাজারে যায়। বৈলর এলাকা মৎস্য চাষের জন্য বিখ্যাত। সড়ক বেহাল হওয়ায় এখানকার মাছ চাষিরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় ১০ বছর ধরে মানুষ সড়কের জন্য অনেক কষ্ট করছেন। তবে যে মানের কাজ হয় তাতে শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে সড়ক আবারও ভেঙে যাবে। ভোগান্তি শেষ হবে না।’ভ্যানচালক তাজুল মিয়া বলেন, রাস্তার খানাখন্দের কারণে মানুষ ভ্যানে উঠতে চায় না। একটু পরপর ভ্যান থেকে মানুষকে নামিয়ে আবার ওঠাতে হয়। আমরা ভ্যানওয়ালারা খুব কষ্টে সময় অতিবাহিত করে যাচ্ছি। রাস্তার কাজ শুরু দেখে ভালো লেগেছিল। কিন্তু কাজ চার বছরেও কোন অগ্রগতি না হওয়া কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কি? কিন্তু মেসার্স ঢালী কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সাথে কাজ করি এই কাজটিতে বিল না পাওয়ার কারণে আমাদের কাজের ধীর গতি শুরু। এত টাকার কাজে দুটি বিল পেয়েছি আড়াই কোটি টাকার মতো হবে। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার কাজ কোন মতে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে আমরা কাজ শেষ হবে জানান।ত্রিশাল উপজেলা উপসহকারি প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান বলেন, বিক্ষোভ চলাকাল সময় আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। বাস্তবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী। অফিস খোলা হলেই গর্তগুলো ভরাট করে দিবো, যাতে গাড়িগুলো চলাচল করতে পারে। রাস্তার কাজ দ্রুত সংস্কার করা হবে।ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন ,দ্রুত রাস্তা সংস্কার হওয়ার কথা দিলে আন্দোলনকারিরা মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেন বলে তথ্যে জানান।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy