ইসমাইল হোসেন , জেলাপ্রতিনিধি ময়মনসিং
তারাকান্দাআলোচিতগোলাপহোসেন(৫০)হত্যা কান্ডের পলাতকআসামীহারুন-অর-রশিদ (৫০) কে গ্রেপ্তারকরেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের পর ১ মাস ৩দিন পালিয়ে ছিল। হারুন-অর-রশিদ পুলিশের হাত হতে রক্ষা পেতে ভিক্ষাবৃত্তি করে সে ময়মনসিংহ,টাঙ্গাইল,নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ভিক্ষুকের বেশে পালিয়ে থাকতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থানা পুলিশকে জানান হারুন।জানা গেছে,গত ২১ জানুয়ারি হারুন নিজ জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য যায়। এ সময় আসামী হারুন গোলাপ হোসেনকে তার জমিতে পানি ড়দেয়ার কথা বললে গোলাপ হোসেন অস্বীকৃতি জানান।
এতে আসামী হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই সেচ যন্ত্রের পাশে থাকা একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে গোলাপ হোসেনের মাথায় আঘাত করে।মাথায় আঘাতের ফলে ঘটনা স্থলেই মারা যান গোলাপ হোসেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়হানুর রহমান জানান,হত্যাকান্ড সংগঠনের পর আসামী হারুন পালিয়ে যায়।সে এ সময় পালিয়ে নিজেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত করে।এভাবে দ্রুত স্থান পরিবর্তনের ফলে সহজে তার অবস্থান জানা যাচ্ছিলনা।
অবশেষে ২৬ ফেব্র“য়ারি (রবিবার) পালিয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোতোয়ালি থানাধীন দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করার সময় গোপন সংবাদে ভিত্তিতে এ এস আই রুবেল মিয়া ও লোকমান হোসেনকে নিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, মামলা রজুর পর ক্লু-লেস মামলাটির তদন্ত কাজ শুরু হলে আমরা জানতে পারি হারুন এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়ে পলাতক হয়েছে। ঘটনারপর থেকে তাকে আসামি গ্রেপ্তার তৎপরতা পুলিশ প্রশাসন এবং ধরে সক্ষম হয়েছে দীর্ঘ দিন পরে।